নীলফামারী জেলার, ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের, নোয়ানী বাগডোগরা গ্রামের নিমজখানার কাঠালতলির মোড়ে গত বৃহস্পতিবার ১৭ই এপ্রিল দুপুর দুইটায় ১০ মিনিটে কয়েকজন ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ভুট্টা ক্ষেত থেকে একটি শিশুর আত্মচিৎকার শুনতে পায়। শিশুটির আত্মচিৎকার শুনতে পাওয়ার পর ভুট্টা খেতের ভিতরে গেলে তারা দেখতে পায়, রাজেন্দ্রনাথ রায় (৫৫) নামে এক বয়স্ক ব্যক্তি সাত বছরের একটি ছোট শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করতেছে। তাদেরকে দেখতে পেয়ে ধর্ষক রাজেন্দ্রনাথ পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অত্র এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হুট করে ভুট্টা ক্ষেতের ভিতর থেকে একটি ছোট শিশুর বাঁচাও বাঁচাও বলে আত্মচিৎকার শুনতে পাই। আমি সহ কয়েকজন ভুট্টা খেতে উপস্থিত হলে, রাজেন্দ্রনাথকে ধর্ষণ চেষ্টা করার সময় দেখতে পাই। আমাদের দেখে সে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেই। এলাকাবাসী রইসুল ইসলাম (৪০) বলেন, রাজেন্দ্রনাথ খুবেই খারাপ লোক। এর আগেও বেশ কয়েকবার সে শিশুদের সাথে খারাপ কাজ করেছে। তার শাস্তি না হওয়ায় সে আবার ওই ঘৃণিত কাজে লিপ্ত থাকে। আমরা ওর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। শিশু মমতার মা সাহিনুর বেগম (৩৫) বলেন, আমার মেয়ে গত ১৭ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার আমাদের পাড়ার রামনাথ কাকার দোকানের পাশে খেলতে যায়। ওইখান থেকেই লম্পট রাজেন্দ্রনাথ হত্যার হুমকি দিয়ে ভুট্টা খেতে নিয়ে গিয়ে আমার শিশু মেয়েটিকে জামা কাপড় খুলে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে আমার মেয়ের আত্মচিৎকারে মানুষজন ছুটে আসে লম্পট রাজেন্দ্রনাথ পালিয়ে যায়। আমার মেয়ের কাছে শুনেছি এর আগেও সে তিনবার আমার মেয়েকে ভুট্টা খেতে নিয়ে গেছে। আমি ধর্ষকের বিচার চাই। সাত বছরের শিশু মোছা: মমতা আক্তার মিনা বলেন,বয়স্ক লোকটি আমাকে ৫০ টাকা দিয়ে বেলুন চকলেট কিনে দিবে বলে আমাকে ভুট্টা খেতে নিয়ে যায় আমার জামা কাপড় খুলে আমার সাথে খারাপ কাজ করে। এর আগেও তিন দিন এমন কাজ করে আমাকে কোন টাকা না দিয়ে আমাকে বলেছে যদি কাউকে বলিস তাহলে তোকে মেরে ফেলবো,আমাকে ছুরি দিয়ে মারার হুমকি দিয়েছে । তাই আমি কাউকে বলিনি। ক্লাস টু তে পড়ে সাদিয়া তার সাথে এমন করেছে। ডোমার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল আলম বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরেছি। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমি আমার উদ্ধতন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবগত করেছি। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলে, মামলা নেওয়া হয়েছে আসামি ধরার চেষ্টা চলতেছে।