1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দুমকিতে তরুণ মাইনুলের অনুপ্রেরণামূলক গল্প,পড়াশোনার পাশাপাশি সবজি চাষে সফল্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে “শিবগঞ্জ সাংবাদিক ফাউন্ডেশন” এর আত্মপ্রকাশ শায়েস্তাগঞ্জে পুলিশের হাতে ৭০ কেজি গাঁজা উদ্ধার ঢাকায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জয়পুরহাটে মানববন্ধন বৈষম্যের শিকার আকণ্ঠধারী শিক্ষকগণ সিদ্ধান্তে অনড় হবিগঞ্জের ৩৮ তরুণকে নিয়ে ইতালী যাওয়া নৌকা ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ জয়পুরহাটে বেসরকারি শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে পৌর আওয়ামী লীগ নেতার দখলে সরকারি জমি! প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে জনমনে প্র কাউখালীতে স্বপ্নসারথি গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান ২০২৫ অনুষ্ঠিত শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক নিহত

ঢাকার চিরচেনা সেই কাক পাখি এখন প্রায় বিলুপ্তের পথে

ইমন চৌধুরী
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪
  • ১০৭৯ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার অলিতে গলিতে আগে অনেক কাক দেখা যেত এখন সেটি বিলুপ্তর পথে প্রায়ই ।প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে জানা যায় যে,নব্বইয়ের দশক থেকে হঠাৎ করে ভারতে শকুনের সংখ্যা কমতে থাকে। ব্যাপারটা কেউ প্রথমে সেভাবে খেয়াল করেনি। কিংবা কেউ খেয়াল করলেও পাত্তা দেয়নি। শকুন না থাকলে কী আসে যায়! পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য যোগ্যতম প্রাণী হচ্ছে মানুষ। ডোডো পাখিরা হারিয়ে গেছে, সাদা গন্ডার হারানোর পথে, শকুনরাও যাবে না হয়!
কিন্তু কিছু একটা এসে গেল! শকুন না থাকার কারণে মরে পড়ে থাকা প্রাণীগুলিকে কেউ খেয়ে পরিষ্কার করছিল না। ফলে নানারকম জীবাণু বাড়তে লাগল। খাবারের প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ায় বন্য কুকুরেরা সংখ্যায় বাড়ল। স্বাভাবিকভাবেই কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বেড়ে গেল এবং জলাতঙ্ক রোগ বাড়ল।
জলাতঙ্ক এমন একটা রোগ, এটা একবার হয়ে গেলে বাঁচার আর কোনো উপায় নেই। এই সময়ে প্রায় ৪৭ মিলিয়ন কুকুরের কামড়ের ঘটনা ঘটল আর মারা গেল ৩৪০০০ মানুষ!
শকুনের সংখ্যা কমতে থাকার এই সংকট থেকে ভারত প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হলো।
শকুনেরা কেন হঠাৎ করে কমতে শুরু করেছিল? অনেকদিন পর্যন্ত এর কারণ কেউ বুঝতে পারেনি। তবে ধারণা করা হতো, কীটনাশকের প্রয়োগ আর পরিবেশ দূষণের কারণে শকুনেরা মরতে শুরু করেছে। ২০০৩ সালে জানা গেল মূল কারণ। গবাদি পশুদেরকে ডাইক্লোফেনাক নামক একটা ঔষধ দেওয়া হতো হরেদরে। এই পশুরা মারা যাবার পর তাদের খেতো শকুনেরা। পশুদের শরীরে থেকে যাওয়া ডাইক্লোফেনাকের অংশ শকুনের শরীর সহ্য করতে পারেনি। তাদের কিডনি বিকল হতে লাগল। তারা মারা যেতে থাকল।
শকুনদের এই নির্বংশ হয়ে যাওয়ার পরিণতি ছিল ভয়াবহ। শুধু বন্য কুকুরের সংখ্যাই বাড়েনি। ইঁদুরের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল। আর নানারকম জীবাণু তো ছিলই! ২০০০ থেকে ২০০৫ এর মধ্যে ভারতে মৃত্যুহার প্রায় ৪% বেড়ে গিয়েছিল। এই সময়টায় শকুনের সংখ্যা ছিল ভারতের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
২০০৩ -এর সেই রিপোর্টের পরে ভারতে ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয়। মানুষের নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য এখন শকুনকে রক্ষা করতে প্রাণপণ চেষ্টা চলছে।
শুনলাম ঢাকা শহরে কাক কমে যাচ্ছে। ঢাকায় এখন মানুষ আর ইট-পাথর ছাড়া আছে কী? গাছ নেই, বেজি নেই, খাটাশ নেই, শিয়াল নেই, কৃষ্ণচূড়া গাছও নেই। আমরা বিড়ালকে লাথি মারি, কুকুরের গায়ে গরম পানি ঢেলে দেই। কারণ আমরাই সেরা জীব। আমরা ছাড়া পৃথিবীতে আর কারো থাকার দরকার নেই।
কিন্তু নিজেদের বাঁচতে হলেও কাককে বাঁচাতে হবে। পরিবেশে কাকের ভূমিকাও অনেকটা শকুনের মতোই। কাক কমে গেলে নিশ্চিতভাবেই নানারকম রোগ ছড়িয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই পড়েছে কি না কে জানে! এসব নিয়ে কি দীর্ঘ এবং গভীর গবেষণা হবে?
আসুন, ঢাকা শহরের কাকদের বাঁচাই। বিলুপ্তির সম্মুখীন প্রতিটি প্রাণীকে রক্ষা করি।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com