ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সদরে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, “এই বর্বর ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা যেই হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে হবে, এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
তবে এই ঘটনায় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু পত্রিকায় যেসব নাম উঠে এসেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেয় নেতারা।
বক্তারা জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে ফরিদ উদ্দিন নামের একজন ব্যক্তি একসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাছাড়া, বাকি যেসব ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে, তারা বিএনপি কিংবা কোনো অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, “তজুমদ্দিনে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভুয়া আইডি দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এসব অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা মিন্টু, সদস্য সচিব আলহাজ্ব ওমর আসাদ রিন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক, একেএম মহিউদ্দিন জুলফিকার, উপজেলা যুবদল নেতা হাসান সাপা পিন্টু, ও শাজাহান, শ্রমিক দল সভাপতি ইকবাল হোসেন লিটন, সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. মামুন হোসেন, কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক মো. রাসেল আহমেদ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, কামারপট্টি এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই বর্বর ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনও ঘটনার ন্যায়বিচার দাবি করছে।