গত ২৫ ( নভেম্বর ) বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ জোটের (ইস্কন) মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে রাজধানী বিমানবন্দর এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি পুলিশ হেফাজতে নেয় । পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ।পরে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হয়, সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশ
চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেপ্তারের খবরে তার মুক্তির দাবিতে হিন্দুরা চট্টগ্রাম আদালত ঘেরাও করে এবং সেখানে আন্দোলন করে এবং একটি আইনজীবীকে হত্যা করে। ফলে এখন পুরো দেশ হিন্দু মুসলিম এর মধ্যে একটি আতঙ্ক বিরাজ করছে আর এরই মধ্যে রাজশাহী রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তি করে ফেসবুকে মন্তব্য করায় শ্রী পার্থর দাস নামে এক হিন্দু কিশোরকে গতকাল (২৮ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে তাহেরপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সাম্পাদক ও চাউল ব্যবসায়ী শ্রী কালিপদ দাসের ছেলে। পরে তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বিক্ষিদ্ধ জনতা ও ছাত্ররা ছুটে এসে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঘেরাও করে এবং তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে এবং পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এলাকাবাসী জানায়, পার্থর দাস তার ব্যবহাত ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. ও তার মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তার প্রতিবাদে একাধিক ব্যক্তি পালটা মন্তব্য করেন। সে তাদেরকেও
গালমন্দ করে মন্তব্য করেন। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে একাধিক ব্যক্তি তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে মৌখিক অভিযোগ করলে রাত সাড়ে ১০টা দিকে পুলিশ তাকে তার নিজ বাসা তেলিপাড়া থেকে আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসলে।পার্থর দাস গ্রেফতার খবরে এলাকার বিক্ষিদ্ধ জনতা মুসল্লি ও ছাত্ররা তাহেরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ছুটে গিয়ে ঘেরাও করে এবং তার শাস্তির দাবি জানান। এ সময় পার্থর দাসকে পুলিশ ভ্যান যোগে থানায় নিয়ে যাবার সময় বিক্ষিদ্ধ জনতা মুসলি পুলিশ ভ্যান ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে বাগমারা থানার (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম ও ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পার্থরকে পুলিশ হেফাজতে রাখা ছিলো বলে একাধিক সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়াগেছে।