1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়া গাবতলী দূর্গাহাটায় কুড়িয়ে পাওয়া শিশু শিম্মিকে টিএমএসএসের শিশু সদনে প্রেরণ তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে গনপদযাত্রা মতলবে গাঁজা সহ ০১ মাদক ব্যবসায়ী আটক ডোমারে স্কাউটসের তিন তলা ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ডোমারে খালেদা জিয়ার ভাগ্নে তুহিনের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত ঈশ্বরদীতে আলোচিত ধর্ষন মামলার আসামিকে গ্রেফতার করলো র‍্যাব দেশি স্টার্টআপ ফাস্ট পাওয়ার টেক পেল চীনা বিনিয়োগ আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস জানেনা অনেক গণমাধ্যম কর্মী উল্লাপাড়ায় বিএনপির নেতাদের পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন ইসরায়েল বিমানঘাটিতে হুথিদের ক্ষেপনার্স হামলা; বন্ধ সব ধরনের ফ্লাইট

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে গনপদযাত্রা

মো:আশরাফুল আলম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

রোববার বিকেলে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে” তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে “গন পদযাত্রার” আয়োজন করেছে রংপুর মহানগর, জেলা ও রংপুর বিভাগীয় বিএনপি। এতে রংপুর ছাড়াও তিস্তাপারের জেলা কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও নীলফামারী বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে -স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব (দুলু)র, আহবানে এক গনপদযাত্রা অনুস্টিত হয়।

গণপদযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আজকে সারা বাংলাদেশেকে শুধু তিস্তা নয়, সারা বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা তিস্তা বন্ধ করেছে, ফারাক্কা বন্ধ করেছে, সুরমা-কুশিয়ারা বন্ধ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, এই পানির ন্যায্য হিস্যা ইনশা আল্লাহ আমরা আদায় করে ছাড়ব।’ হাসিনার মতো এক স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশে না এলে অনেক আগেই তিস্তার পানির হিস্যা আদায় করা যেত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনকে একটি ‘অহিংস’ প্রতিবাদ উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটি অহিংস দাবি সারা বিশ্বের সামনে আজ উঠেছে। আমি বিশ্বাস করি, পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ব জানতে পারবে যে ভারত আমাদের পানির অভাবে কী কষ্ট দিচ্ছে। আমরা চোখের পানিতে কারও আছে কিছু চাইব না। আমরা ভিক্ষা চাই না, হিসাবের পাওনা চাই। আমাদের হিসাবের পাওনা দিতে হবে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলনকে থামানো যাবে না।’ভারতের কাছে বাংলাদেশের অনেক পাওনা বাকী আছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ভুলে যাবেন না। অনেক কিছু আছে। আমাদের কাছে আপনাদের ট্রানজিট আছে, মোংলা ও চট্টগ্রাম পোর্ট (বন্দর) আছে। প্রয়োজনে আমরা হিসাব-কিতাব করব মনে রাখবেন। আমরাও হিসাব করব, যেখানে যেটা প্রয়োজন আছে সেটা না হলে আপনাদেরও ছাড়ব না। আমাদের তিস্তার পানি চাই, দিতে হবে। তিস্তার পানি চাই, দিতে হবে।’

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব (দুলু)র সভাপতিত্বে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে বিকেল চারটায় সমাবেশ শুরু হয়। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাপনী বক্তব্যে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব (দুলু)বলেন, ‘১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তাপারের ৫ জেলার মানুষকে নিয়ে ১১টি পয়েন্টে ৪৮ ঘণ্টা টানা অবস্থান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। তখন ধারণা করা হয়েছিল, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে। কিন্তু নানা অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। বড় বড় প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু দুই কোটি মানুষের জীবনরেখা তিস্তা মহাপরিকল্পনা দেওয়া হচ্ছে না। এটি আমাদের জীবন–মরণের সংগ্রাম। আমরা রংপুরের মানুষ বারবার বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। যত দিন দাবি আদায় হবে না, রাজপথ ছেড়ে আমরা যাব না।’

সমাবেশ শেষে শাপলা চত্বর থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর একটি গণপদযাত্রা বের হয়। গণপদযাত্রাটি প্রায় তিন কিলোমিটার গিয়ে জিলা স্কুল চত্বরে শেষ হয়।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com