1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মোংলা বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা ফুলবাড়ীতে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল ওলামার কমিটি গঠন শ্রীমঙ্গলের হরিনছড়ায় সেপটিক ট্যাংক থেকে মোবাইল তুলতে গিয়ে ৪ তরুণের মৃত্যু কিচক আইডিয়াল একাডেমি এসএসসি ফলাফলে উপজেলার সেরা প্রতিষ্ঠান অচল রাকসু নয়, দরকার সক্রিয় প্রতিনিধি পরিষদ’—নেতাদের কণ্ঠে প্রত্যাশা উলিপুরে সৌর বিদ্যুৎ নি‌য়ে বিপা‌কে দুর্গম চরাঞ্চলের বাসিন্দারা ডোমারে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন বরগুনায় শহীদ ৮ পরিবারকে জামায়াতের নগদ সহায়তা প্রদান লালমনিরহাট সদরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ১কলেজ ছাত্রী নিহত,৪ কলেজ ছাত্রী আহত উজিরপুরে অস্ত্র ঠেকিয়ে সাংবাদিকের কাছ থেকে চেক ও টাকা ছিনতায়ের ঘটনায় আদালতে মামলা

দর্শনা পুলিশ কনস্টেবল এর ঝুলন্ত মরাদেহ উদ্ধারের ০১ মাস পরে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সহ ০৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের

হাবিবুর হাকিম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২১ মে, ২০২৫
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনার ইমিগ্রেশন ভবন থেকে পুলিশ কনস্টেবল শামীম রেজা (সাজুু)র ঝুলন্ত মরাদেহ উদ্ধার এর ঘটনায় ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এস আই রমযান আলি সহ ০৭ সহকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনার ০১ মাস পরে নিহত পুলিশ সদস্যের বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার ২০ই মে  দর্শনা থানা আমলি আদালতে মামলাটি করেন।আদালতে বিচারক সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)কে দায়িত্ব দিয়েছেন।মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হাসান লাভলু বলেন বাদীর অভিযোগ আদালত গ্রহণ করে তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
জানা যায় কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার বুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাসেম আলী ফরাজির ছেলে শামীম রেজা সাজু  চুয়াডাঙ্গা দর্শনা র জয়নগর আন্তর্জাতিক চেক পোস্টে ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মরত ছিলেন।গত ১৮ ই এপ্রিল সকালে চেকপোষ্টের নতুন বিল্ডিং এর দোতালায় একটি কক্ষ থেকে শামীমের ঝুলন্ত মরা দেহ উদ্ধার করা হয়।ওই ঘটনায় দর্শনা থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।শামীমের লাশ উদ্ধারের এক মাস পরে শামীম এর বাবা হাসেম আলী ফরাজী আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলায় লাভলুর রহমান,মিঠুন হোসেন,সহিদুল ইসলাম,কনস্টেবল মেহেদী হাসান,সোহেল রানা,ও ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই রমজান আলীকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী উল্লেখ করেন,তার সন্তান শামীম রেজা বিবাহিত এবং তার একটি পাঁচ বছরে ছেলে সন্তান আছে।পুত্রবধূ আমার নিজ বাড়িতে এবং ছেলে চেকপোষ্টে সহকর্মীদের সঙ্গে থাকতেন, তাদের ভিতরে কোনরকম পারিবারিক অশান্তি ছিলনা।বাদীর অভিযোগ দর্শনা ইমিগ্রেশন বদলি হবার পর থেকে শামীম রেজা বৈষম্যের শিকার ছিলেন ০১ থেকে ০৬ নাম্বার আসামিরা তাকে সবসময় মানসিক চাপে রাখতেন এবং কারণে অকারণে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন।শামীম প্রতিবাদ করলে তারা ৬ জন শামীমকে খুন করার হুমকি দেন একাধিকবার।এসব কারণে শামীম মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয় ১৭ই এপ্রিল ০১ থেকে ০৫ নাম্বার আসামিরা কনস্টেবল শামীমকে খুন করার হুমকি দিলে, তিনি নিজ গ্রামের বাসিন্দা সহকর্মী সোহেল রানাকে হোয়াটসঅ্যাপে জানায়,সোহেল রানা বিষয়টি শামীমের পরিবারের কাউকে না জানিয়ে,তার ০৬ সহকর্মীকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় ১৭ই এপ্রিল রাত ১১.০০ টার পরে যেকোনো সময় শামীমকে হত্যা করে কক্ষের মধ্যে সিলিং ফ্যান এর সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালাতে থাকেন।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com