কুড়িগ্রাম জেলাধীন ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মোমিন ৩রা এপ্রিল ২০২৫ ইং তারিখে তার মৃত পিতার চল্লিশা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আব্দুল মোমিন উক্ত আয়োজনে গ্রামবাসীদের আমন্ত্রণ করে, আমন্ত্রিতদের মধ্যে আশিক মিয়া (২০) নামক যুবক খাওয়া শেষে টিস্যু চাইলে আব্দুল মোমিন মিয়ার ছেলে মো:জুয়েল রানা’র (১৪) টিস্যু দিতে খানিকটা বিলম্ব হয়। ফলে আশিক মিয়া জুয়েল রানার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এমতাবস্থায় মোমিন মিয়া বাধা দিলে অভিযুক্ত আশিক মিয়া নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আনুমানিক বিকাল ৪:১৫ মিনিটে মোঃ জুয়েল রানা নিকটস্থ পাগলারহাট বাজারে যাওয়ার জন্য রওনা হলে, পথিমধ্যে আশিক মিয়া কয়েকজন যুবক নিয়ে মোঃ জুয়েল রানার পথ রোধ করে এবং পুর্বের ঘটনার জের ধরে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। তৎক্ষনাৎ আব্দুল মোমিন মিয়া সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং আশিক মিয়াকে পথরোধ ও হুমকি দিতে নিষেধ করলে, আশিক মিয়া তার সঙ্গপঙ্গদের নিয়ে আব্দুল মোমিনকে কিল ঘুষি দেয় এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। ফলে আব্দুল মোমিন গুরুতর আহত হয়। ঘটনার শোরগোল শুনে নিকটস্থ এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ১। মোঃ আশিক মিয়া (২০), পিতা-মোঃ লিটন মিয়া, ২। মোঃ লিমন মিয়া (১৯), পিতা-মোঃ ফজর আলী, ৩। মোঃ ফাহিম মিয়া (১৯), পিতা-মোঃ জাহিদুল ইসলাম – কে আটক অস্ত্রসহ আটক করে এবং অজ্ঞাতনামা ২ যুবক দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ভুরুঙ্গামারী থানায় মোবাইলে যোগে উক্ত ঘটনা জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এসএস পাইপ ও ২ টি দেশীয় অস্ত্র সহ আটককৃত ৩ যুবকে গ্রেফতার করে।