আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিক ফেডারেশনের (আইইএফ) চলতি বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ও মানসিক চাপ ডায়াবেটিক রোগী বাড়ার মূল কারণ। ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের একাডেমিক পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান বলেন, ডায়াবেটিস আগে শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন গ্রামাঞ্চলেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সচেতনতা না বাড়ালে ভবিষ্যতে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। ডা. ফারুক পাঠান আরও বলেন, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ও হৃদরোগও বাড়ছে; যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এসব প্রতিরোধে কর্মস্থলে শরীর চর্চার ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, সুষম খাদ্য গ্রহণ, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে কর্মীদের সুস্বাস্থ্য ও জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে কর্মস্থলে ডায়াবেটিস বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি এখন সময়ের দাবি।
এমন পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও জনসচেতনতার লক্ষ্যে আজ শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কর্মস্থলে ডায়াবেটিস সচেতনতা গড়ে তুলুন’।