দুমকিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে স্থাপনা নির্মাণ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে সহোদর ভাই নুরুল ইসলাম হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে। শনিবার(২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় দুমকি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সহোদর আঃ খালেক হাওলাদার। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম হাওলাদার। খালেক হাওলাদার লিখিত অভিযোগে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল ভাই নুরুল ইসলামের সাথে। ২০১১ সালে বিরোধ মিমাংশা করতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিস বৈঠক করে রোয়েদাদনামার মাধ্যমে বিরোধীয় জমি বুঝাইয়া দিলেও কিছুদিন পর শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জবরদখল করে তার ভাই। পরক্ষনে ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি পটুয়াখালী সিনিয়র জজ আদালতে মামলা করেন খালেক হাওলাদার । ওই বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারী আদালত উক্ত বিরোধীয় জমিতে স্থাপনা নির্মাণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পুনরায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে খালেক হাওলাদার বাঁধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তাঁরা। প্রান রক্ষার জন্য ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর তারিখে পটুয়াখালী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০৭/১১৪/১১৭ ( সি) মামলা দায়ের করলে দুমকি থানার এএসআই দুলাল সরকার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ বছরের এপ্রিল মাসের গত সপ্তাহে পুনরায় নিষেধাজ্ঞার জমিতে স্থাপনার কাজ শুরু করলে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্মরনাপন্ন হলে তিনি আমাদের উভয়পক্ষকে ডেকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানতে পরামর্শ দেন। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করতে শুরু করলে আমরা বাঁধা প্রদান করতে গেলে তাঁরা আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। অভিযোগের বিষয়ে নুরুল ইসলামের ছেলে নাসির হাওলাদারের ব্যক্তিগত নাম্বারে কল করলে রিসিভ করে কোন জবাব না দিয়ে কল কেটে দেন। দুমকি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান,যেহেতু নুরুল ইসলাম আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করতেছে সেক্ষেত্রে তাঁরা আদালতকে অবহিত করলে আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন চাইলে আমি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবো।