পটুয়াখালী মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের চরবয়রা হনুফা নুরআলী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাওলাদার ফিরোজ্জামানের বিরুদ্ধে।
জীর্ণশীর্ণ অবকাঠামো থাকলেও নেই শিক্ষক শিক্ষার্থী। চলছেনা পাঠদান কার্যক্রম। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে অন্যের জমি দখলে নেওয়ার জন্যই স্কুলের নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্যদের নাম রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে (১৫ জুলাই) মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় দেখা যায়, ২০০৬ সালে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চরবয়রা গ্রামে নিজ বাবা মায়ের (হনুফা নুরআলী) নামে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাওলাদার ফিরোজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা। বিগত কয়েক বছর যাবৎ বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য উন্নতি না থাকায় এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীর অভাবে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ লতিফ মৃধা এবং হারুন মৃধা বলেন, আনুমানিক ৫ বছর যাবৎ বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মৃত্যু সোবহান হাওলাদারের ছেলে মুসা হাওলাদার বলেন, আমাদের জমি স্কুলের নামে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে যুবলীগ সভাপতি হাওলাদার ফিরোজ উজ্জামানের পরিবার।
এ বিষয়ে যুবলীগ সভাপতি হাওলাদার ফিরোজ্জামানের ব্যক্তিগত মোবাইলে কল করলে বন্ধ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আমরা আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছি। অভিযোগকারীদের ভয়ভীতির কারনে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ আছে।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য ও এ জমি সংক্রান্ত বিরোধের মনোনীত শালিস মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে ৩৩ শতাংশ জমির ২০ শতাংশ ক্রয়সূত্রে মালিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা আবুল বাশার পাবেন এবং বাকি ১৩ শতাংশ সোবহান হাওলাদার গং পাবেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বাকের আলী বাবুল বলেন,প্রায় এক বছর যাবৎ এখানে শিক্ষা কার্যক্রম চলেনা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুনীল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এ বিষয়ে ২৯/৬/২৫ ইং তারিখের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।