ইতালি পাঠানোর প্রতারণা মামলার রেশ গিয়ে ঠেকল কৃষকের গোয়ালঘরে। পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি আবদুল জলিল প্যাদার বিরুদ্ধে কৃষকের গোয়ালঘর থেকে জোরপূর্বক দুইটি গাভী লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আবদুল বারেক মজুমদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল বারেক মজুমদার জানান, জলিল প্যাদার সঙ্গে সেলিম প্যাদা, জাফর প্যাদা ও আরও কয়েকজন বাড়িতে গিয়ে তাঁর গোয়ালঘর থেকে দুইটি গাভী তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানানো হলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বসে পঞ্চায়েত বাজারে; তবে কোনো সুরাহা মেলেনি।
ঘটনার সূত্রপাত বারেক মজুমদারের ছেলে আমিনুল ইসলামকে কেন্দ্র করে। আমিনুলের বিরুদ্ধে ইতালিতে লোক পাঠানোর কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা চলমান। সেই মামলার ‘পাওনা’ দাবির অজুহাতে জলিল প্যাদা সালিশে দাবি করেন, তাঁর ভাই আমিনুলের কাছে টাকা পায়; তাই পাওনা আদায় করতেই বারেকের গরু নিয়ে এসেছেন।
ভুক্তভোগী কৃষক বারেক মজুমদার বলেন, “আমার ছেলে ঢাকায় থাকে। কে কার কাছে কী পাবে আমি জানি না। আমাকে দুর্বল মনে করে আমার গরু দুটি নিয়ে গেছে।”
ছেলের কাছে পাওনা টাকা আদায়ে বাবার গরু নিয়ে আসতে পারেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন নি আবদুল জলিল।
ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান বলেন,”টাকা পাওনা মামলার বিষয়টি আদালতের; সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। তবে গরুর বিষয়ে সমাধানে চেষ্টা করছি।”