কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে পটুয়াখালীর দুমকীতে মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রকাশ্যে হুমকি! থানায় জিডি, পুলিশের সামনেই ধরা পড়লেও তাৎক্ষনিকভাবে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ’। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে বাদী ও তাঁর পরিবারের। মামলার বাদী দুমকী উপজেলা কৃষক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মোর্তজা বিল্লাহ। তাঁর অভিযোগ, ২০২২ সালে দুমকী উপজেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি ২০২৪ সালের নভেম্বরে মামলা করেন। সেই মামলার আসামি মুরাদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম। চলতি বছর এপ্রিল মাসে গ্রেফতার হলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। মোর্তজা জানান, ১৫ মে তাঁর বাবার মোবাইলে হুমকির ফোন আসে—“মামলা না তুললে হাত-পা ভেঙে ফেলা হবে।” ফোন নম্বরটি ছিল ০১৮৬০-৩৪৩৬৩৩। বিষয়টি থানায় জানিয়ে জিডিও করেন তিনি। ১৮ মে দুপুরে দুমকী উপজেলা পরিষদের সামনে জাহিদুলকে দেখে সেই নম্বরে ফোন দিলে তিনি নিজেই রিসিভ করেন। নিশ্চিত হয়ে তাঁকে স্থানীয় চায়ের দোকানে ডেকে পুলিশে খবর দেন মোর্তজা। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাহিদুলকে ধরেও সঙ্গে সঙ্গেই ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ। এর পর আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি—ফেরার পথে বোর্ড অফিস বাজারে জাহিদুলের দুই ভাই দেলোয়ার ও আবুবকর লাঠি হাতে ধাওয়া করেন মোর্তজাকে। তবে চালকের তৎপরতায় রক্ষা পান তিনি। মোর্তজার অভিযোগ, “সরকার বদলালেও দোসরদের দৌরাত্ম্য কমেনি। প্রশাসনের নীরবতায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি।” ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি তুলেছেন তিনি। জানতে চাইলে দুমকী থানার উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান বলেন, বাদী মোঃ মোর্তজা বিল্লাহ সাধারণ ডায়েরি মোতাবেক তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।