পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় প্রতিবন্ধী মেয়েকে ভিকটিম সাজিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং সহযোগিতার অভিযোগ এনে মামলা করেন কোহিনুর বেগম নামে এক নারী। তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এবার সেই মামলার বাদীকেই পাঠানো হল কারাগারে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে দক্ষিন মুরাদিয়া গ্রামে। অভিযুক্ত মোসা. কোহিনুর বেগম (৪৬), মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কামাল শরীফের স্ত্রী। গত রবিবার (২২ জুন) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসা. নিলুফার ইয়াসমিন তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কোহিনুর বেগম বাদী হয়ে দুমকী থানায় মোক্তার হোসেন মৃধা ও সহযোগী মেহেদী হাসান রাসেল হাওলাদারকে আসামি ধর্ষন মামলা করে। মামলার অভিযোগ ছিল, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঘরে একা পেয়ে কোহিনুরের প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
তদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত না মেলায় মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে আদালত ওই দুই আসামিকে অব্যাহতি দেন। এরপর মানহানি ও হয়রানির অভিযোগে রাসেল হাওলাদার কোহিনুরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। সেই মামলায় কোহিনুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে রবিবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কহিনুরের স্বামী কামাল শরীফ, মেয়েরা,জোসনা আক্তার ও মারুফা আক্তার, ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার, রেবেকা বেগম ও স্থানীয় চৌকিদার মিজানুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ও স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে পক্ষ না করায় একটি দুষ্ট চক্রের ইন্ধনে রাসেল হাওলাদার ও তাঁর পরিবারকে ফাঁসাতে এ মামলা করা হয়েছিল।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ধর্ষণ মামলার বাদীর মুঠোফোনে কল করলে একজন রিসিভ করেন তিনি জানান, রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করবেন তাঁরা, তবে তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে কল কেটে দেন।