নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মোঃ জয়নাল মিয়া (৬৫) নামে এক ফার্মের নিরাপত্তা কর্মীকে ঘরের খুটির সাথে বেঁধে হত্যা করে সাতটি গরু নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গোদারিয়া চৌরাস্তা মোড় সংলগ্ন এলাকায় মাহবুবুল হকের ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল মিয়া উপজেলার একই ইউনিয়নের পুকুরিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ও গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে এই ফার্মে কাজ করছিলেন তিনি।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ,সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) আল-ইমরানুল আলম ও দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই), সিআইডি।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়নাল মিয়া এই ফার্মে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সে ছাড়াও আরও দুইজন কর্মচারী এখানে কাজ করেন। গতকাল রাত দশটার দিকে হেলাল নামের একজন পাহারাদার দিনের ডিউটি শেষ করে জয়নালকে রাতের ডিউটি বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান। পরে আজ সকালে হেলাল আবারও ডিউটিতে ফিরে জয়নালের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিতে তাকে খোঁজ করলে একপর্যায়ে গরুর খর রাখার ঘরের পিলারের সাথে বাঁধা মৃত অবস্থায় দেখতে পান জয়নাল মিয়াকে। পরে তিনি ফার্মের মালিকসহ সবাইকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।ফার্মের মালিক মাহবুবুল হক জানান, কেবা কাহারা আমার ফার্মের নিরাপত্তা কর্মী জয়নালকে মেরে ১১টির গরুর মধ্যে ৭টি গরু নিয়ে গেছে। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বুঝতে পারছেন না বলে জানান তিনি।নিহত জয়নাল মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরেই এই মালিকের ফার্মে কাজ করতেছে। সকালে এখান থেকে আমাদেরকে ফোন দিয়ে জানায় আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে এ খবর শুনে আসি আমরা। এইটুকুই জানি।এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) আল-ইমরানুল আলম বলেন, সর্বশেষ গত রাত দশ ঘটিকায় যখন বদলি পাহারাদার এখানে আসেন তখন জয়নালকে কাজ বুঝিয়ে দেয় সেসময় পর্যন্ত ঠিক ছিল। পরবর্তীতে ওই পাহারাদার আবারও সকালে কাজে এসে জয়নালের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিবেন সে-সময় ওই পাহারাদার তখনি দেখতে পান গরু রাখার ঘরের দরজা খোলা ও সাতটি গরু নাই। পরবর্তীতে সে জয়নালের খোঁজ করলে কোথাও না পেয়ে একপর্যায়ে খড়ের ঘরে মুখ বাঁধা অবস্থায় মৃত অবস্থা পায়।তিনি আরও বলেন, ধারনা করা হচ্ছে গত রাত দশটার পর হতে যেকোনো সময়ে এ ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে ও শ্বাসরোধ করে তাকে মারা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত ও রহস্য উদঘাটনের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে।