আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার তিওরকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের সামনে বেপরোয়া ভ্যান চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছোট্ট শিশু মিষ্টির পেটের উপর দিয়ে চাকা যায় বর্তমানে শিশুটি এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে দুর্গাপুর মেডিকেলে তার মা সাবিনা নিয়ে যায় স্থানীয় মানুষের সূত্রে জানা যায়, স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা পানি খাওয়ার জন্য রাস্তার এপার ওপার পারাপার করে এমন তো অবস্থায় এক্সিডেন্টটা ঘটে, তিওরকুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামনে , বেপরোয়া ভ্যানচালক ইয়ারুল এর অ্যাক্সিডেন্টের শিকার ক্লাস টু এর স্কুল ছাত্রী, ভ্যানচালক মাসুদ রানার মেয়ে মোছাঃ মিষ্টি খাতুন। বেপরোয়া ভ্যানচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার পেটের উপর দিয়ে ভ্যানের চাকা গিয়ে স্কুলের সামনে ল্যাম্পপোস্টে ভ্যান ধাক্কা খায় ল্যাম্পপোস্ট বাঁকা হয়ে যায়, এবং শিশুটির গুরুতর অবস্থায় তার মা সাবিনা দুর্গাপুর মেডিকেলে নিয়ে যায়।দুর্গাপুর উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষ্মীপুর গ্রামের ভ্যানচালক মাসুদ রানার মেয়ে ক্লাস টু এর ছাত্রী স্কুলে আসে ৯.০০টায় যেহেতু ক্লাস শুরু হয় ৯.৩০মিনিটে এইজন্য সে রাস্তায় পারাপারের অবস্থায় অ্যাক্সিডেন্টটা ঘটে এবং ক্লাস টু এর ছাত্রী মোছাঃ মিষ্টি খাতুন প্রতিদিনের মতোই আজকেও স্কুলে এসেছিল কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার স্কুলের ক্লাস করা হলো না তাকে জরুরি ভাবে নিয়ে যাওয়া হলো দুর্গাপুর মেডিকেলে এদিকে অপরাধ স্বীকার করেন বেপরোয়া ভ্যান চালক কিশোরপুরের ইয়রুল তিনি বলেন আমি নিজ ইচ্ছাই না, এমন একটা অ্যাক্সিডেন্ট হবে আমি নিজেও বুঝতে পারিনি আমি ভুল করছি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সিডেন্টটা ঘটে।এই বিষয়ে তিওরকুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া গেলে, তারা বলে যে আমাদের স্কুলে পানি খাওয়ার ব্যবস্থা আছে মোটার আছে এবং প্রতিটি ক্লাসে বোতলে করে পানি রাখা আছে তারপরেও আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়ে তাদের খেয়াল রাখি এবং তাদেরকে শিক্ষার জ্ঞান এবং শিক্ষার আলোকে আলোকিত করার উদ্দেশ্যে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি তাদেরকে মানুষের মতো মানুষ করার, তাদেরকে আমরা যথেষ্ট পরিমাণ খেয়াল রাখি তাদের বাবা-মার মত। আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি না তারা ছোটাছুটি করে ছোট্ট বাচ্চা এরা তো অবুঝ ছোটাছুটি করবে খেলাধুলা করবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এমন একটা ঘটনা ঘটবে এটা আমরা আশা করিনি আমরা তার দ্রুত সুস্থ হয়ে আসুক আমাদের স্কুলে আমরা সবাই এই কামনাই করি।