রাজশাহীর দুর্গাপুরে হোজা নদী পুন:খনন ও দখল মুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে পিএফজি (পিস ফ্যাসিলেটেটর) নামক সামাজিক সংগঠনের রাজশাহী জেলার এম্বাসেডার ও দুর্গাপুর উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোহাইমেনুল হক (রেন্টু) সহ সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে হোজা নদী রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী হিসেবে বিবেচিত হতো।এটি ২৬ কি:মি: দৈর্ঘ্য এ নদীটি পূর্বে পরিপূর্ণ অবস্থায় এ অঞ্চলের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো।কিন্তু কালপ্রবাহে খনন কার্যের অভাব, প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা ও স্থানীয় কিছু মানুষের দখলদারিত্ব মনোভাব, পৌরসভার আবর্জনা ফেলাসহ বিভিন্ন কারণে এ নদীর প্রায় ৯ কিমি এ কোনো প্রকার পানির প্রবাহ নাই।এমতাবস্থায় নদীর বিভিন্ন পার্শ্বে ভূমি দস্যুরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নদীটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।এ নদী রক্ষায় সর্বস্তরের জনগন ও প্রশাসন একত্রে কাজ করে নদীটা না বাঁচালে সর্বশেষ আশাটুকু বিলিন হয়ে যাবে।তাই নদীটি পুন:খনন করে এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমের মাধ্যমে নদীটি রক্ষার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজন।এক্ষেত্রে, দূর্গাপুর পিএফজি (পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ) তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে নদীটি রক্ষায় একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে।উল্লেখ্য, দূর্গাপুরবাসী নদী ও পরিবেশ রক্ষায় আপনার দীর্ঘ আন্দোলন সম্পর্কে জ্ঞাত যা আমাদের নিভু নিভু আশাকে জাগ্রত করছে।অতএব, এ প্রেক্ষাপটে হোজা নদী রক্ষায় নদীটি পুন:খনন ও দখলমুক্ত করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি বিষয়টি নিয়ে আমি জেলার সিনিয়র অফিসারদের সাথেও কথা বলেছি।আমি আগামী সপ্তাহের দিকে সরজমিনে ভিজিটে যাবো, নদীর জমি দখল করে কেউ যদি অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।