নীলফামারী জেলার, ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলস্টেশনের নবনির্মিত আইকনিক ভবনসহ সহ বিভিন্ন স্থাপনা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতিপূর্বে আইকনিক ভবন ফাটল, ওয়াশফিট পিলারের ফাটল, ওয়াশফিটে ময়লা আবর্জনা ও ঘাসের উপর ঢালাইয়ের চিত্র বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম প্রচারিত সহ স্থানীয়রা এই সমস্ত কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানান। নির্মানাধীন কাজগুলি দীর্ঘদিন পরে থাকলেও রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনমনে বিরু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন যাবত এ সমস্ত স্থাপনার হস্তান্তর হয়নি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, সুধী মহল ও মিডিয়াকে না জানিয়ে অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও ক্যাসেল কোম্পানি তাদের নির্মাণকৃত স্থাপনা গুলি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
রেলের একটি সূত্র জানান, বাংলাদেশের সাথে চিলাহাটি হয়ে ভারতের রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চিলাহাটি রেল স্টেশনকে আধুনিকরন করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপে ৮০ কোটি দ্বিতীয় ধাপে বৃদ্ধি করে ১৪০কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।২০১৯ সালের শেষের দিকে আইকনিক ভবন সহ অন্যান্য কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এরমধ্যে চিলাহাটি আধুনিকরন রেলস্টেশনে ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্য ওয়াসফিট নির্মাণ কাজের জন্য ২১ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কোম্পানি জানুয়ারি ২০২৩ সালে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তাদের কাজের সময় প্রথমে ১ বছর পরবর্তীতে বৃদ্ধি করে ২ বছর সময় বৃদ্ধি করা হয়। বেতন ভাতা না পাওয়ায় প্রায় সাত মাস থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাচেল। নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকলেও রেলওয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছে। সঠিক তদারকির অভাবে শুরু থেকে ঠিকাদার গা ছেড়ে দিয়ে নামকাওয়াস্তে নির্মাণ কাজ করে আসছে। ওয়াচ ফিট কাজ শুরুর পর দুই দুইবার চিলাহাটি রেলস্টেশনে জিআইবিআর পরিদর্শন করে গেছেন। তিনি পরিদর্শন কালে স্থানীয়রা নবনির্মিত আইকনিকভবনের ফাটল, ওয়াসফিটের পিলারের ফাটলের ভিডিও চিত্র তুলে ধরার পরও অদ্যবধি কোন প্রতিকার মেলেনি।অপরদিকে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় চিলাহাটি নবনির্মিত আইকনিক ভবনের ফাটল, ফাটল স্থানে টাইলস পরিবর্তন করে ধামাচাপা ও ওয়াসফিটের পিলারের ফাটল সহ নিম্নমানের কাজের চিত্র তুলে ধরে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি। ফলে একের পর এক নির্মাণ কাজ বেপরোয়া ভাবে চলে আসছে।
চিলাহাটি রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রুহুল আমিন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স রেলওয়ের উদ্ধতন কর্মকর্তা স্যারদের উপস্থিতিতে আইকনিক ভবনটি আমার কাছে হস্তান্তর করেন। এখন থেকে নব নির্মিত আইকনিক ভবনের চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনের সকল কার্যক্রম শুরু হল।