পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইন্দুরকানি উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক নির্বাচিত সদস্য শেখ আবুল কালাম আজাদ ইমরানের বিরুদ্ধে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “মেসার্স মেঘলা এন্টারপ্রাইজ”-এর মালিক এই ইমরান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইন্দুরকানি উপজেলার ৫ নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২ নং পশ্চিম চর বলেশ্বর ওয়ার্ডের শাহ আলম মেম্বার বাড়ি থেকে ফকিরহাট পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করা হলেও বাস্তবে কোনো কাজই সম্পন্ন হয়নি। নির্মাণসামগ্রী হিসেবে মজুদকৃত প্রায় ৩০,০০০ পিস ইট ও খোয়া গত ২০২৫ সালের ১৮ মে তারিখে বিক্রি করে দেন শেখ ইমরানের বাবা শেখ সেকেন্দার আলী। স্থানীয়দের অভিযোগ, “মেঘলা এন্টারপ্রাইজ” কর্তৃপক্ষ পাঁচটি ট্রাকে এসব মালামাল সরিয়ে নেয়।
ইন্দুরকানি থানার অফিসার্স ইন চার্জ (ওসি) জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়াও এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, শেখ আবুল কালাম আজাদ ইমরান নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আবুসালেহ ব্যাপারীর সম্পত্তি জবরদখল করে সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদটির জায়গার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই বলে জানা গেছে।
সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, “দারুল আরকাম মাদ্রাসা” নির্মাণ প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে। এলাকাবাসীর দাবি, উক্ত মাদ্রাসায় কোনো শিক্ষার্থী নেই, তবুও শেখ ইমরান একাধিক ভুয়া শিক্ষকের নামে নিয়মিতভাবে সরকারি বিল উত্তোলন করে যাচ্ছেন। পিরোজপুর জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন সেখানে কোন ছাত্র-ছাত্রী নাই এটা আমাদের নলেজে আছে, সেখানে আমাদের ফিল্ড অফিসার কয়েকবার যোগাযোগ করেছেন, গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জরুরি হস্তক্ষেপ এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। উল্লেখ্য যে ইন্দুরকানি থানায় শেখ আবুল কালাম আজাদ ইমরানের নামে একাধিক রাজনৈতিক মামলা রয়েছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত শেখ আবুল কালাম আজাদ ইমরান বা তাঁর পরিবার থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।