বাংলাদেশের আপোষহীন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম—দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেত্রী নন, বরং বাংলার গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবিচল এক অগ্নিশিখা। তাঁর জীবন ও কর্ম প্রমাণ করেছে—নির্যাতন, ষড়যন্ত্র ও বাধা-বিপত্তির ভয়াবহ গহ্বর পেরিয়েও একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিক কিভাবে জনমানুষের পাশে অবিচল থাকেন।
বিএনপির নেতৃত্বে বহুবার গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই বেগম জিয়া আজও আমাদের সাহস ও প্রেরণার প্রতীক। তাঁর আপোষহীন মনোভাব, দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং জনগণের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে এক অনন্য উদাহরণ।
আজ যখন তিনি আবার আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন, এটি শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনাই নয়, বরং গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য আশার দীপ্ত বার্তা। এই আগমন যেন আবারও উজ্জীবিত করে আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা, সাহস জোগায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রামে।
আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় প্রার্থনা করি—বেগম খালেদা জিয়া যেন সুস্থ থাকেন, দৃঢ় মনোবলে পরিপূর্ণ থাকেন, এবং ভবিষ্যতেও জাতীয় নেতৃত্বে তাঁর অবদান অব্যাহত রাখতে পারেন। তাঁর প্রত্যাবর্তন যেন গণতন্ত্রের সূর্যোদয়ের নতুন অঙ্গীকার নিয়ে আসে, এবং জাতিকে মুক্তি ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে আবারও সহায়ক হয়।
এটি একটি নতুন সম্ভাবনার সূচনা। দেশনেত্রীর প্রত্যাবর্তনকে আমরা গণতন্ত্রের নবজাগরণের শুভ বার্তা হিসেবে দেখি।
আসুন, আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে তাঁর পাশে দাঁড়াই, জাতীয় স্বাধীনতা, জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশীদার হই।
জয় হোক গণতন্ত্রের। জয় হোক দেশনেত্রীর আপোষহীন নেতৃত্বের।