ভোলার দৌলতখানে বুধবার রাতে সরকারি গোডাউন থেকে ১শ ৯১ পিস টিন পাচারকালে সদ্য বিদায় নেয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এইচ এম আনসার এর চাচাত ভাই মোঃ অনিকসহ দুইজনকে আটক করে পৃুলিশে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
ত্রান কর্মকর্তার মাধ্যমে এদের থানা থেকে ছাড়িয়ে আনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইউএনও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় জনতা। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে ওই এলাকায়।
দুপুরে উপজেলা চত্বরসহ বাজার এলাকায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়তি রানী কৈরির অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল কওে তারা। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, টিনগুলো কোন সরকারি ত্রান বিভাগের সিলমারা টিন নয়। এই সব টিন তার দফতর থেকেই ক্রয় করা হয়েছে বলে জানান। মাপে ঠিক হয় নি বলে তা গোডাউন থেকে বের করা হয়েছিলো। টিনগুলো বৈধ হলে রাতে কেন সরানো হয়েছিলো, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় বিক্ষোভকারীরা। তাই এইউএনওর কথা মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।
ত্রান দফতরে দুর্নীবিবাজ কর্মকর্তা আনসার আলী দীর্ঘ ৭ বছর ধরে থাকায় ওই দফতরকে লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেন বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকদল নেতা শাহাবুদ্দিন ও স্থানীয়রা। এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আনসার আলী সে তার ভাই অনিককে দিয়ে ত্রান দফতরে থেকে তার নামে নিজেই ইট, টিন, রড, বালি, সিমেন্ট সাপ্লাই ঠিকাদারী কাজ করাতেন। আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানে নিম্নমানের মালামাল ক্রয় করে বেশি দাম হাকিয়ে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। এমন নানা অভিযোগের কারনে গেল সপ্তাহে বদলী হন আনসার আলী।
বর্তমানে ওই দফতরে পিআইও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে যোগদান করেন পলাশ সমর্দার। তিনি জানান, টিনের বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন। আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মানের বিষয়েও খোজ নিচ্ছেন।
এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দফতরের রেজিস্টারে দেখা যায়, মোঃ অনিকের নামে এপ্রিল মাসে ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ভেকুবিল ৫০ হাজার টাকা, মোঃ পারভেজের নামে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, একই নামে ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা এমন টাকার হিসেব দেখা যায়। ওই রেজিস্টারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে এইচ এম আনসার এর সিল ও সাক্ষর রয়েছে।
দৌলতখান শ্রমিক দলের নেতা শাহাবুদ্দিন মেম্বার জানান, সকল অনিয়ম দুর্ণীতির তদন্ত চান এলাকার জনগণ। আমরা সবাই চাই স্বচ্চতার মধ্য দিয়ে সকল কাজ বাস্তবায়ন হোক। বিএনপি নেতা মাহাবুব মোরশেদ কুট্টি জানান, সরকারি কাজ বাস্তবায়নে ক্রয়কৃত টিন কেন রাতের আধারে সরানো হবে। তাই এই সব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা।