নওগাঁর ধামইরহাটে শিয়ালের কামড়ে নারীসহ সাতজন ব্যাক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন (টিকা) না পাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবারেরা।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেল চারটার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন থেকে আজকে (২ জুলাই) উপজেলার উত্তর শিববাটি, রঘুনাথপুর গ্রামের আবু তালেবের ছেলে মেজবাহ, শালুককুড়ি গ্রামের আব্দুল সামাদের ছেলে আবুল কালাম, ঘাসিপুরের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত জব্বারের ছেলে আব্দুল লতিফ, শিববাটি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে রবিউল।
এছাড়াও গাংরা, রঘুনাথপুর গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে মাইমুনা বেগম, দেয়ুলবাড়ি, রঘুনাথপুর গ্রামের কছির উদ্দিনের ছেলে ইউনুস আলী এবং পুর্ব চকশরিফ গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম শিয়ালের আক্রমণে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আহত হন। এদের মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হওয়ায় জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
রঘুনাথপুর গ্রামের ভুক্তভোগী ইউনুস আলী বলেন, জরুরী কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদূর যেতেই শিয়ালের আক্রমণের শিকার হন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে এসে দেখেন ভ্যাকসিন নেই। এ সময় অসহায় হয়ে পড়েন বলে জানান।
অপর ভুক্তভোগী আবুল কালাম বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন পাবেন এমন প্রত্যাশা নিয়ে এসে দেখেন ভ্যাকসিন নেই। বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে ওষুধের দোকান থেকে ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. আশীষ কুমার সরকার বলেন, ‘শুধুমাত্র জেলা পর্যায়ে অ্যান্টি-র্যাবিস ভ্যাকসিন বা এআরভি সরবরাহ রয়েছে। উপজেলা পর্ষায়ে আমরা এখনও পাইনি।’ তবে ঊর্ধ্বতন অফিসারদের এ বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শিয়ালের আক্রমণে যারা আহত হয়েছেন তাঁরা যেন দ্রুত, ফেনা হয় এমন ক্ষার যুক্ত সাবান দিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট ক্ষতস্থান পরিষ্কার করেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে এসে ভ্যাকসিন (টিকা) দেওয়ার পরামর্শ দেন।’