নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত আত্রাই নদীর বালুচর জবর-দখল করে একের পর এক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে এই অপকর্ম চালিয়ে গেলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে, মহাদেবপুর উপজেলা সদরের নতুন ব্রীজের পূর্ব-উত্তর পাড় সংলগ্ন ৩০ শতক জমি সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত বালুচর। সেই জমি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বকের মোড় এলাকার মামুন জবর-দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি। তাদের অভিযোগ বিগত ফ্যাসিবাদ আমলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত আহসান হাবীব ভোদনের ভাগ্নে হওয়ায় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সে সময়। সরেজমিনে ঐ এলাকায় গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, নিয়ম না মেনে আত্রাই নদীর উপর নির্মীত নতুন ব্রীজের পাশেই এই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ব্রীজটিও হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয়রা অবিলম্বে এই অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারী সম্পত্তি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে গত ২১ নভেম্বর মহাদেবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দাখিল করা হয়েছে। এব্যাপারে মিডিয়া কর্মীরা জানতে চাইলে মামুন জানান, ঐ জমি স্থানীয় একটি মৎস্যজীবী সমিতির নামে পত্তন দেয়া হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিনি কিনে নিয়েছেন। তবে তিনি এসংক্রান্ত কোন কাগজ-পত্র দেখাতে ব্যর্থ হোন। বিষয়টি জানতে মহাদেবপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মিনারুল ইসলাম নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানান, ঐ জমি সরকারী ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত এবং ৪০২ নং দাগে ৩০ শতক সম্পত্তির রকম বালুচর। এই জমি পত্তনযোগ্য নয় এবং কাউকে পত্তনও দেয়া হয়নি। মামুন পত্তন সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দেখালে তা হবে ভূয়া। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিফাত আরা জানান, সরকারী সম্পত্তি অবৈধ্যভাবে দখল করে থাকলে তদন্ত পূর্বক এব্যাপারে একটি উচ্ছেদ মামলা রেকর্ড করে তা উদ্ধার করা হবে।