নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পতকৈল- মোহাম্মদপুর পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির খাল খননের এক্সিভেটর (ভিকু) মালিক মোঃ নুরুজ্জামানের টাকা নিয়ামতপুর পানি ব্যবস্থাপনার সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি আওয়ামীলীগের নেতা মোঃ মাহতাবের বিরুদ্ধে খাল খননের টাকা আত্মসাতের এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, নিয়ামতপুরের পতকৈল-মোহাম্মাদপুর পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি আওয়ামীলীগের নেতা মোঃ মাহাতাব প্রধানের সাথে খাল খননের এক্সিভেটর (ভিক্ষু) মেশিনের মালিক নুরুজ্জামানের ১০০ মিটারে ৫৯,০০০ (উনষাট হাজার) টাকা চুক্তি হয়। শর্ত মোতাবেক ৩,৮০০ (তিন হাজার আটশত) মিটার মাটি কাটা হয়। যাহার মূল্য ২২,৪২,০০০ (বাইশ ল বিয়াল্লিশ হাজার) টাকা।
সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ মাহাতাব প্রধান (৬৬) পিতা মৃত সাইফুদ্দিন প্রধান, খাল খননের কাজ চলাকালীন নগদ টাকা ও তেল খরচ বাবদ ১৫ লক্ষ ৯৮ হাজার (পনেরো ল আটানব্বই হাজার) টাকা সমিতি হইতে প্রদান করেন। কাজ শেষে বাঁকি টাকা চাইতে গেলে খাল খননের বিল পাস হয়নি বলিয়া বিভিন্ন অজুহাত দেখায়।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ভিক্ষু মালিক নুরুজ্জ¥ানের সাথে। তিনি সমিতির সদস্যদের নিয়ে এ ব্যাপারে গ্রাম্য সালিশ করিলে উক্ত সমিতির সহ-সভাপতি ও সদস্যরা ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উক্ত সমিতির সহ সভাপতি মোঃ মাহাতাব প্রধানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নাই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় উক্ত সমিতি হইতে সহ-সভাপতি মোঃ মাহাতাব প্রধান টাকা উত্তোলন করিয়া নিজে আত্মসাৎ করেছে।
ভুক্তভোগী নুরুজ্জ¥ামান জানান, নিয়ামতপুরের স্থানীয় বিএনপি নেতা ইব্রাহিমের প্রভাব দেখিয়ে আমাকে উক্ত টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে। এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হইয়া সহকারি পুলিশ সুপার মান্দা সার্কেল নওগাঁ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করি। এর পরেও আমার পাওনা টাকা না পাওয়াই আমি চিন্তিত ও মর্মাহত।
পতকৈল মোহাম্মদপুর পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে দলীয়ভাবে খাল-খননের কাজটি তারা নেন। বর্তমানে বিএনপির স্থানীয় নেতা ইব্রাহিমের সহযোগিতায় এই সমিতির সহ সভাপতি দাপট দেখিয়ে চলছে। সরজমিনে গিয়ে সমিতির সভাপতি ও ক্যাশিয়ারের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, নুরুজ্জামান টাকা পাবে বলে সমিতির সভাপতি এবং ক্যাশিয়ার স্বীকারোক্তি দেন।
এদিকে সহ-সভাপতি মোঃ মাহাতাব প্রধানের সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন নুরুজ্জামান টাকা পাবে না। এসময় ক্যামেরার সামনে কোন বক্তব্য দিবে না বলেই তিনি চলে জান। নিয়ামতপুরের স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতার প্রভাব দেখিয়ে সংবাদ কর্মীদের সাথে ও তিনি রাগারাগি করেন।
ভুক্তভোগী মোঃ নুরুজ্জামান বলেন আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আমার পাওনা টাকা যেন পেতে পারি তার জন্য একটি সুব্যবস্থা করে দেন।
এব্যাপারে মান্দা নিয়ামতপুর সহকারী পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, খাল খননের টাকা আত্মসাৎের একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।