নওগাঁর মান্দায় কৃষকরা আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ করেই ব্যাপকভাবে আগাম জাতের সরিষা চাষ করছেন। গত বছর স্থানীয় বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবারও সরিষা চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। এরই মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসলের মাঠ সরিষার ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগাম জাতের সরিষা চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ফুলে ফুলে ভরে গেছে দিগন্ত জোড়া মাঠ। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিরা অনেক খুশি।
প্রসাপুর ইউনিয়নের গ্রামের কৃষক মোঃরমেজ আলী সরদার বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। গত বছর সরিষা আবাদ করে ভালো লাভবান হয়েছিলাম। এ কারণে এবারেও চলতি মৌসুমে লাভের আশায় সরিষা চাষ করেছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নে গ্রামের কৃষক মোঃআহমদ আলী বলেন, চলতি মৌসুমে সরিষা আবাদ করেছি। এরপর এ ফসল উঠিয়ে বোরো ধান আবাদ লাগানো শুরু করব। এতে করে ভালো লাভবান হয়ে থাকি। আশা করছি, গত বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। রোগবালাই না হলে লাভবান হব।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার আবাদ হয়েছে ৪৩০০ হেক্টর জমিতে বারি-১৪, ১৩১৫ হেক্টর জমিতে টরি-৭ এবং ৮৫ হেক্টর জমিতে বারি-৯ জাতের মোট ৫৭০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, বর্তমানে চলতি মৌসুমে সরিষার এ পর্যন্ত ৫৭০০ হেক্টর জমিতে আবাদ শুরু হয়েছে। আমাদের ৯১০০ হেক্টর জমিতে চাষের জন্য টার্গেট রয়েছে। আমরা প্রণোদনা পুনর্বাসনে বিনামূল্যে ৪৮০০ জন কৃষককে সরিষার বীজ ও সার দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা প্রতিনিয়ত ভালো ফলনের লক্ষ্যে মাঠে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি সরিষার যে লক্ষ্যমাত্রা আছে সেটা আমরা পূরণ করতে পারব।