প্রায় ২শ বছেেরর পুরোনো শ্রী শ্রী জয় কালিমাতা ও শ্রী শরৎ কালি মন্দিরের সংস্কার শেষে পুনরায় উদ্বোধন করা হয়। ৫ এপ্রিল শনিবার রাত ১০.১০ টার সময় জেলার মান্দা উপজেলার ঠাকুর মান্দার জমিদার অমিত রায়ের উত্তরসুরী অশোক রায় বাপ্পি এই মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জমিদার পরিবারের আরেক উত্তরসুরী দেবাশীষ রায়, নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেস কাবের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনসহ জমিদার পবিারের সকল সদস্যবৃন্দ।
উদ্বোধনকালে অশোক রায় বাপ্পি বলেন, এই শ্রী শ্রী জয় কালিমাতা ও শ্রী শরৎ কালি মন্দিরটি ১৮৫৫ সালে আমাদের পূর্ব পুরুষ প্রতিষ্ঠা করেছিল। প্রায় ২শত বছর পূর্বে। রাজ খাড়া কসবা মান্দার দেবোত্তর ষ্টেট এর পক্ষ রায় বাহাদুর এই মন্দিরটি নির্মান করেন। প্রতি বছর ব্যাপক জাকজমকের সাথে এই মন্দিরে পূজা অর্চনা করা হতো। দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভক্ত আসতো এখানে। ভোগ বিতরণ, পাঠা বলিসহ বিশাল আয়োজনে হতো কালি মাতার পূজা। কিন্তু ১৯৫০ সালে জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর সরকার সমস্ত সম্পত্তি কবজায় নেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় মন্দিরের সেই কার্যক্রম। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করলে সরকার ১নং খাস খতিয়ান থেকে ১৯৭৯ সালে আমাদের পুনরায় পছন্দ মত বেশ কিছু সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয় টাকার দিতে না পারায়। আমরা সে সময় থেকে সেই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিলাম। কিছু দিন পর সেই সম্পত্তি নিয়ে শুরু হয় মামলা, জবর দখল। দেশে যখন যে সরকার আসে হোক সেটা বিএনপি কিংবা আওয়ামীলীগ সবাই আমাদের সম্পত্তি জোর পূর্বক ভোগ দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা সেসব সম্পত্তি দখল করে রাখে। আমাদের কাছে ভিড়তেই দেয় না। আর সে কারণে এই মন্দিরটি অনেক বছর অবহেলিত অবস্থাঢ পড়ে রয়েছিল। সম্পত্তি আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং আমার রাজ পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় মন্দিরটির আমুল সংস্কার করে পুনরায় পূজা অর্চনার উপযুক্ত করে গড়ে তুললাম। আজকেই তারই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলাম। আমাদের ষ্টেটের জয় কালি মাতার নামে প্রায় ১ হাজার ৪শ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে। আমাদের মোট ১৪ হাজার সম্পত্তি নিয়ে ৫টি কাচারী বাড়ী ছিলো। এই ষ্টেট এর নাম রাজ খাড়া দেবোত্তর ষ্টেট। যটা ঢাকার মানিকগঞ্জ থেকে শুরু। বর্তমানে নদীর গর্ভে চলে গেছে। তারপর কাটালীয়া পাড়া, রাজশাহী, ফরিদপুর।