যেকোনো অবকাঠামোর আগুন রোধে ব্যবহৃত হয় নানা ধরনের অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র। একসময়ের পুরনো ধ্যানধারণা থেকে সরে এসে আধুনিকতার যুগে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি বদলে দিচ্ছে এই খাতের চিত্র। ২০১৩ সালের পর থেকে দেশে বাড়তে থাকে আধুনিক অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় সব জেলায় কারখানার পাশাপাশি বাসা বাড়িতেও যোগ হচ্ছে এই আধুনিক অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা। তবে বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর তৈরি করা মানহীন পণ্য ও সুস্পষ্ট নকলের কারণে ঝুঁকির মুখে এই ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের জীবন। বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আয়ের এই ব্যবসাটির মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ঢাকার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে এ সকল অসাধু ব্যবসায়ীর নানা রকম ছোট বড় কারখানা। তেমনিভাবে পুরাতন ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের নুরবাগ এলাকায় পুরান ফাঁড়ির গলিতে অবস্থিত সুরমা ফায়ার ফাইটিং কোং। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোঃ জমির হোসাইন। তিনি সকল প্রকার-ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট ইমপোর্টার এন্ড সাপ্লায়ার-হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন বিগত ৬বছর। তবে আমরা প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি দেখতে গেলে বেরিয়ে আসে তার ভিন্ন চিত্র। পাঁচতলা আবাসিক ভবনের নিচ তলাতেই দুটি রুম নিয়ে গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে কোনরকম অনুমতি ছাড়াই নিয়ম নীতির বিধি-বিধান না মেনেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খোলামেলা অবস্থায় বস্তায় করে রাখা নিম্ন মানের ড্রাই কেমিক্যাল ব্যবহার করে রিফিল করা হয় বিভিন্ন কোম্পানির পুরাতন ফায়ার এক্সটিংগুইশার। প্রতিষ্ঠানটিতে নেই কোন কেমিক্যাল ল্যাব,ল্যাব কেমিস্ট, কেমিক্যাল ব্যবহারের লাইসেন্স। এছাড়াও আমাদের উপস্থিতিতে ছিলনা কোন প্রকার ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট। বিষয়গুলো নিয়ে মুঠো ফোনে প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ জমির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আশেপাশে এইরকম আরো বহু প্রতিষ্ঠান এই ভাবেই কাজগুলো করে যাচ্ছে তাই তিনিও তাদের দেখাদেখি কাজটা পরিচালনা করে যাচ্ছেন বিগত ছয় বছর ধরে। প্রতিষ্ঠানটির কোন ইম্পোর্টার লাইসেন্স নেই বলেও স্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে কামরাঙ্গীরচর থানায় কথা বলতে গেলে পুলিশ অফিসাররা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান তারা। থানায় কর্মরত ডিউটি অফিসার আমাদের আরো বলেন,বিগত ৫ আগস্টের পর থানায় অনেক অফিসার বদলি হয়ে নতুন অফিসারদের অংশগ্রহণ হয়েছে। পুরাতন কে বা কারা বিষয়টি জানতো এ বিষয়ে এখনি সুনিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।