1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পছন্দ না হলেই ফ্যাসিবাদের দোসর ও আওয়ামীলীগের ট্যাগ লাগিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি ও প্রদর্শনী উপকরণ বিতরণ সিলেটে এ অনৈতিক কাজে জড়িত ১ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী আটক করছে ডিবি বগুড়া নন্দীগ্রামে তারেক রহমানের ৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল দিনভর মানবিক কাজের উদ্দোগ নিয়েছেন পিরোজপুরে প্রযুক্তিনির্ভর জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে গণমাধ্যম পেশাজীবীদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত খুলনার কয়রায় ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারে তরুণদের উদ্যোগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে সরকার দানব হয়ে ওঠে সোয়াইব নামে এক যুবক বগুড়ায় বিদেশী চাকু সহ গ্রেফতার কুড়িগ্রামে নব যোগদানকৃত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নন্দীগ্রাম উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

নদীর কোলেই নামাজঘর

কামরুল আহসান সোহাগ 
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের মনফল গ্রামের মুসলিমপাড়া জামে মসজিদটি আজ ভেলুয়া নদীর ভয়াবহ ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে — মৃত্যুপথযাত্রী এক ধর্মীয় নিদর্শন। স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষদের ত্যাগ ও শ্রমে নির্মিত এই মসজিদটি এখন নদীর তীব্র স্রোতের কবলে পড়ে যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
২০০৫ সালে সমাজসেবক আফতাব মোল্লার নেতৃত্বে এলাকার মুসল্লিদের অর্থায়নে নির্মিত এই জামে মসজিদটি ছিল স্থানীয় মুসলমানদের একমাত্র নামাজের কেন্দ্র। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় আশপাশের শতাধিক মুসল্লি এখানে জড়ো হতেন। জুম্মার দিনে মসজিদটি পরিণত হতো এক পবিত্র মিলনস্থলে।
কিন্তু আজ সেই পবিত্র স্থাপনাটির দেহে লেগেছে নদীভাঙনের গভীর ক্ষত। সরেজমিনে দেখা গেছে, তিন শতাংশ জমির ওপর নির্মিত মসজিদটির এখন মাত্র এক শতাংশ জায়গাই অবশিষ্ট আছে। তিনদিকে নদীর পানি থৈ থৈ করছে; মসজিদটি কোনোমতে টিকে আছে ভাঙনের কিনারায়। স্থানীয়দের চোখে আতঙ্ক — একটি ঢেউ এলে হয়তো মসজিদের শেষ ভরসাটুকুও ভেঙে পড়বে।
মসজিদের ইমাম মাওলানা মো:. খলিল রহমত জানান, “আমি সাত বছর ধরে এখানে ইমামের দায়িত্ব পালন করছি। প্রথম দিকে মসজিদটি পুরোপুরি অক্ষত ছিল। কিন্তু কয়েক বছরের ব্যবধানে নদীর ভাঙনে এর বেশিরভাগ জায়গা হারিয়ে গেছে। স্থানীয়ভাবে পাইলিংয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তা টেকেনি। এখন একমাত্র উপায় মসজিদটি নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা।”
মুয়াজ্জিন (মুসল্লি) মুজাম্মেল হোসেন বলেন, “আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী কষ্ট করে এই মসজিদটি গড়ে তুলেছিলাম। এখন ভাঙনের কারণে তা টিকে রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমাদের পক্ষে নতুন করে জমি কেনা সম্ভব নয়। যদি সরকারি ভাবে খাস জমি বরাদ্দ পাই, তাহলে আমরা নতুন স্থানে এই মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করতে সক্ষম হব।”
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো:. আজিত সেখ জানান, “২০০৫ সালে লোকদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছা পূরণ করে আমরা মসজিদটি নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু ভেলুয়া নদীর ভাঙন এতটাই ভয়াবহ যে এখন তা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে একদিন হয়তো এখানে শুধু নদীর স্রোতের শব্দই শোনা যাবে।”
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষরা জানান, এই মসজিদ শুধু নামাজের জায়গা নয় — এটি তাদের হৃদয়ের আশ্রয়, ধর্মীয় শিক্ষা ও সামাজিক সম্প্রীতির প্রতীক। এখানে শিশুদের কোরআন শিক্ষা হত, রমজানে তারাবি ও ইফতার মাহফিল বসত, ঈদের নামাজে চারদিক ভরে উঠত তাকবিরের ধ্বনিতে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া শাহনাজ তমা বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মসজিদের বিষয়টি খোঁজ নেবেন। মসজিদের যদি নিজস্ব জমি থাকে, সেখানে ঘর নির্মাণের সহযোগিতা করা হবে। আর যদি নিজস্ব জমি না থাকে, আশেপাশে খালি জায়গা খুঁজে খাস জমিতে মসজিদটি পূর্ণ নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com