ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার মো. শুক্কুর(৩৮) নামে এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আমবাগিচা খালপাড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুড়িকাঘাতে নিহত হয়েছে। রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শুক্কুর নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা এলাকার চর মধু চরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী আমবাগিচা খালপাড় রোডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, রোববার ভোরের দিকে হঠাৎ চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে গেট দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি একজন লোক দৌড়াচ্ছে আর ৪ জন তার পিছু নিচ্ছে। প্রথমে পাশের গলির ভিতর ঢুকে পড়ে সবাই। পরে আবার সেই লোক দৌড়ে গলি থেকে বের হয়। তখন তার বুকে চাকুর আঘাত দেখা যায়। এই অবস্থাতেই তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ নিয়ে দৌড়াতে থাকে। পিছনে থাকা ৪ জন তার ব্যাগ কেঁড়ে নিতে চায় কিন্তু পারতাছে না। পরে ওই লোক সামনে গিয়ে পড়ে যায়। তখন ওই চারজন ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে অন্ধকারে কাউকে চিনতে পারি নাই। সাথে সাথে আমি ভয়ে ঘরে চলে যাই।
নিহত শুক্কুরের চাচাতো ভাই জানান, শুক্কুর নবাবগঞ্জে আগলা এলাকায় কাঁচা সবজির ব্যবসা করতো। সে রোববার ভোর ৪ টায় বাসা থেকে ঢাকার শ্যাম-বাজার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথের মধ্যে কে বা কারা তাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। আগে শুক্কুর নবাবগঞ্জ থেকেই কাঁচা সবজি কিনে বিক্রি করতো। হঠাৎ পাশের দোকানদারের সাথে ঝগড়া হওয়ায় আজই প্রথম শ্যামবাজারের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। শুক্কুরের কাছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ছিল মাল ক্রয় করার জন্য। পথে তাকে মেরে হয়তো বা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের বুকে ৩ থেকে ৪ টি ছুকিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ইতোমধ্যে আমিসহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে- ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।