ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় চিকিৎসকের অবহেলায় চঞ্চলা রাণী(৫৫) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চঞ্চলা রানী উপজেলার চুড়াইন গ্রামের সুকুমার শীলের স্ত্রী। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিহত চঞ্চলার ছেলে সুকন্ঠ শীল জানায়, শনিবার দুপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসকের অবহেলায় তার মা চঞ্চলা রাণী মারা গেছেন। তার মায়ের ডায়রিয়া হতে পারে এমনটা ভেবে শুক্রবার রাতে তার মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেন। এসময় তার মা প্রচণ্ড পেট ব্যথায় ভুগছিলেন। বাড়িতে পেট ব্যথা অবস্থায় বেশ কয়েকবার বাথরুমে যায়। তার মাকে ভর্তি করার পর এসময় দায়িত্বরত নার্সরা তাদের কাছে স্যালাইন ও ক্যানোলা বাবদ টাকা দাবি করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক তার সাথে অনেক দুর্ব্যবহার করেন। তার মায়ের শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হলে চিকিৎসক ও নার্সদের জানালেও তারা রোগীর কাছে না এসে মোবাইলে ফেইসবুক চালাতে থাকেন। শনিবার সকালেও তার মায়ের যথাযথ চিকিৎসার বিষয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাদের অবহেলার কারণে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি হাসপাতালের আরএমও ডা. সামছুল হক খানসহ কর্তব্যরত নার্সদের শাস্তির দাবি জানান।
রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতালে কর্মরত একাধিক নার্সরা জানায়, তারা কোন টাকা দাবি করেননি। হাসপাতালে স্যালাইনের সরবরাহ না থাকায় দায়িত্বরত চিকিৎসক বাহিরে থেকে স্যালাইন আনতে বলে ছিলেন। আমরা রোগীর স্বজনদের স্যালাইনের দাম জানিয়েছি।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, রোগীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে আবেগতাড়িত স্বজনরা যাতে হাসপাতাল ভাংচুর ও চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার মতো কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ এ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল ইসলাম বলেন, রোগী মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মৃত রোগী সম্ভবত ডেংগুতে আক্রান্ত ছিল। তবে এ বিষয়ে ডা. মুহাম্মদ ইফতেখার হোসেনকে সভাপতি করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দায়িত্বে অবহেলা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।