ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিশ্বজিৎ দাস (৩৫) নামে এ যুবককে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে প্রতিপক্ষ।
গত ১০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের সাদাপুর বাজারের সুমন মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত বিশ্বজিৎ দাস সাদাপুর গ্রামের বাবুল চন্দ্র দাসের ছেলে।
এ ঘটনায় ১২ সেপ্টেম্বর নবাবগঞ্জ থানায় মামলা রজু হলে বাবু মাদবর (৫৫) নামে এক ব্যক্তিতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত বাবু মাদবর একই ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামের মৃত বাছের মাদবরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জমি নিয়ে বিরোধে আদালতে বিচারাধীন মামলার জের ১০ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাবুল চন্দ্র দাসের বাড়িতে গালাগাল ও মারধরের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষ। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যায়।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাদাপুর বাজারের সুমন মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে দাড়িয়ে ছিল বাবুল চন্দ্র দাসের ছেলে বিশ্বজিৎ দাস। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই হযরতপুর গ্রামের বাবু মাদবরের ছেলে পায়েল মাদবর (২৪) ও পারভেজ মাদবর (২০), বাবু মাদবর (৫৫), তার স্ত্রী পলি বেগম (৪৫), একই গ্রামের মৃত এশাক মাদবরের ছেলে সোহেল মাদবর (৩৮) লাঠিসোটা ও কাঠ নিয়ে হামলা করে। হামলাকারীরা বাজারের লোকজনের সামনে বিশ্বজিৎ দাসকে এলোপাথারি পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে চলে যায়।
স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল পর্যন্ত সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলো।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক তানভীর শেখ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় আহতের বাবা বাবুল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ৫ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলার এজাহার-ভুক্ত বাবু মাদবর নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।