আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় দেশের অন্যান্য আসনের মতো গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনেও রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। নির্বাচনী সমীকরণ ঘিরে প্রধান দলগুলোর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এরই মধ্যে মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে এবার বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী এবং বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির একাধিক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে।
বিএনপিতে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী,
বিএনপি আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবে এমন ধারণার ভিত্তিতে গাইবান্ধা-৫ আসনে দলের একাধিক নেতা মনোনয়নের প্রত্যাশায় তৎপর হয়ে উঠেছেন। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ নাহিদুজ্জামান নিশাদ, সহ-সভাপতি ফারুক আলম সরকার, উপদেষ্টা সদস্য ও শিল্পপতি অ্যাডভোকেট নাজেমুল ইসলাম নয়ন, এবং ময়নুল ইসলাম শামীম—তারা সক্রিয়ভাবে এলাকায় অবস্থান করছেন।
প্রার্থীরা এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিতি, তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জামায়াতে ইসলামী ও ওয়ার্কাস পার্টির প্রস্তুতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে গাইবান্ধা জেলা সিনিয়র নায়েবে আমীর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ আলী-কে একক প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দলীয়ভাবে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় জামায়াত কর্মীরা আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে রয়েছেন।
অন্যদিকে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান-এর নাম শোনা যাচ্ছে। দলীয়ভাবে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও, ফোরামে আলোচনায় তাঁর নামই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অপেক্ষারত সমীকরণ এই আসনে দীর্ঘ সময় জাতীয় পার্টির দখল থাকলেও, ২০০৮ সালে প্রয়াত অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া জাতীয় পার্টি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিলে এই আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হয়ে ওঠে।
জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলগুলো এখনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান পরিষ্কার না করলেও, দলীয়ভাবে আসন ভাগাভাগি কিংবা একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি আলোচনার মধ্যে রয়েছে।
ভোটার ও নির্বাচনী পরিসংখ্যান
এই আসনে মোট ১৭টি ইউনিয়ন রয়েছে এবং ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৪ জন ভোটার আগামী নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
প্রচারণা শুরু, ব্যানার-ফেস্টুনে মুখর এলাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার লাগানো শুরু করেছেন। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুশল বিনিময় ও শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নিজ অবস্থান তুলে ধরছেন।