সামান্য গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে জোড়া খুনের আসামী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা গ্রেফতার এড়াতে ও হামলার ভয়ে গ্রাম ছাড়া। এই সুযোগে মামলার বাদীপক্ষের লোকজনরা আসামী পক্ষের বাড়ী ঘরের আসবাবপত্র, টিন, নগদ টাকা, ধান, চাল লুটের অভিযোগ করে আসছিল। ঘটনাটি উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের বুধুরিয়া ডাংগাপাড়া গ্রামে। সম্প্রতি ২৬ এপ্রিল শনিবার বেলা ১২টায় ভাংড়ি ব্যবসায়ীরা বুধুরিয়া ডাংগাপাড়া গ্রামে বাড়ী ঘরের পুরাতন আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য গেলে হত্যা মামলার বাদী পক্ষের লোকজন আসামী পক্ষের বাড়ী হতে লুট করা পাওয়ার টিলার, শ্যালো মেশিন, টেলিভিশন, বাক্স, হাড়ি পাতিল, বইসহ অন্যান্য আসবাবপত্র বিক্রি করে। বাদ যায়নি পবিত্র কুরআন শরীফও। ভাংড়ি ব্যবসায়ীরা ঐ সমস্ত মালামাল ক্রয় করে যাওয়ার পথে হাজিনগর ইউনিয়নের বেলীর মোড়ে আসামী পক্ষের আত্মীয় স্বজনরা দেখতে পেয়ে তাদের আটক করে। সাথে সাথে থানায় জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে যায়।
এ বিষয়ে ভাংড়ী ব্যবসায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চৌডালার আব্দুস সামাদ বলেন, আমরা ভাংড়ী ব্যবসা করে। আজ বুধুরিয়া ডাংগাপাড়া গিয়ে বাড়ী ঘরের এই সমস্ত আসবাবপত্র গ্রামের মানুষরা আমাদের কাছে বিক্রি করে। আমি তাদের তো চিনি না।
আরেক ভাংড়ী ব্যবসায়ী এই জেলার রহমনপুরের বোয়ালিয়ার মোঃ হাসান বলেন, আমরা নগদ টাকা দিয়ে এই সমস্ত জিনিসপত্র ক্রয় করি। আমরা তো বুঝতে পারিনি যে এ গুলো লুটের মালামাল। জানতে তো আর কিনতাম না।
বুধুরিয়া ডাংগাপাড়া গ্রামের আকতার হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, ভাংড়ী ব্যবসায়ীরা আমাদের গ্রামের বজলুর ও জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে কিনে নেই। তারা জোড়া খুনের আসামীদের বাড়ী থেকে এই সমস্ত মালামাল নিয়ে আসে।
আসামী পক্ষের আত্মীয় স্বজনদের অভিযোগ ঐ পক্ষের লোকেরা আমাদের বাড়ী থেকে নগদ টাকা, সোনা অলংকার, ধান, চাল, হাড়ি পাতিল সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়। আজ তারা হাতে নাতে ধরা পড়লো। এই সমস্ত অপকর্মের হোতা বুধুরয়া গ্রামের আব্দুল, আইজুল মাষ্টার, ফইমুদ্দিন, ফারুক, কামরুল, রাজ্জাক, আনোয়ার, মিজানুর, এমদাদুলসহ আরো অনেকে। আমাদের আবেদন লুট হওয়া মালামাল আমরা ফেরত পেতে চাই।
জোড়া খুনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়ামতপুর থানা পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নাই।