আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া একমাত্র সম্বল ২টি পুকুর। সেই পুকুরে দীর্ঘদিন যাবত মাছ চাষ করে আসছি। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার সেই দুই পুকুরের ১০ লক্ষ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে আমাকে সর্বশান্ত করে। আমাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। কান্না বিজড়িত কন্ঠে সংবাদ সম্মেলন করে এমনটাই বলছিলেন ভুক্তভোগী নাসিম।
১৯ মার্চ বুধবার বেলা ১০টায় নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেস কাবে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের পিরপুকুরিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে নাসিম আক্তার সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে এ কথাগুলো কলেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, নিয়ামতপুর উপজেলার গাংগোর মৌজার খতিয়ান নং-২ (ক), দাগ নং-১১৬৬, ১২০২,পরিমান ১.৯৭ এবং ২.৩৯ এর দুটি পুকুর পত্তন নিয়ে আমার পূর্বপুরুষ দীঘদিন যাবত ভোগ দখল করে আসছেন। আমি সেই পৈত্রিকসূত্রে মালিকানা পাই। আমিও দীর্ঘদিন যাবত ঐ দুটি পুকুরে মাছ চাষ করে আসছি। হঠাৎ গত ১৯ মার্চ বুধবার সকাল ৭টায় উপজেলার জামুরহাটের মৃত-শিবনাথের ছেলে বিরেন সরকারের নেতৃত্বে পিরপুকুরিয়া গ্রামের মৃত- আলীজানের ছেলে মাহাতব আলী, মৃত- আবুল হোসেনের ছেলে মঞ্জুর হোসেন, মাহাতাব আলীর ছেলে সাদ্দাম, সজিব, কাদির, মৃত- আয়েশ মোহাম্মাদের ছেলে জহুরুল ইসলাম, ইসমাইলের ছেলে জামিনুর, সুলতানের ছেলে লোকমান, মোখলেছের ছেলে মাসুদ, মৃত-ইব্রাহীমের ছেলে হায়দার, খায়রুল, শামসুদ্দিন মঞ্জুরের ছেলে রনি, তাজামুলের ছেলে বাসির, মৃত- জামালের ছেলে ইসমাইল, মৃত- সাহেবজানের ছেলে এনামুল, ইসমাইলের ছেলে মালেক, সালেক, মৃত- হানিফের ছেলে সাইদুল, আনারুলের ছেলে বাদশা, লোকমানের ছেলে নুরে আলম, সেতাব উদ্দিনের ছেলে আইনাল, লুৎফর, জামুরহাট গ্রামের সেনু মুড়িযারীর ছেলে চিত্তরঞ্জন, সগুনার ছেলে যগিন্দ্র আমার দুটি পুকুরে প্রায় ৯০ মন মাছ ৫টি ভটভটি করে লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকা। আমরা সাথে সাথে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ রামনগর মোড়ে ১ ভটভুটি মাছ আটক করে।
নাসিম আরো বলেন, আমি ও আমার পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিরেন সরকারসহ স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ৫ আগষ্টের পরেও দাপটের সহিত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। আমি বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছি।