নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার রাজাপুর (ছয়ঘাটি) দিঘীর পাড়ে তুচ্ছ গালাগালিকে কেন্দ্র করে অবশেষ গুরুতর জখম।জনাব মোঃ মতিউর বলেন,আমি পাশের বাজারে এক চা ষ্টলে চা খাচ্ছিলাম হটাৎ করে আলতুর ছেলে পিছন থেকে আঘাত করে এবং আমি ওখানেই পড়ে গেলে তারা আমাকে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে এসে আবারও বেধড়ক মারধর শুরু করে মারধরের এক পর্যায়ে আমার ছোট ভাই বলছে আমার জন্যই যেহেতু এত কিছু বলে বাড়িতে ঢুকে দরজা আটকিয়ে দেয় এবং বলে আমার জীবন রাখবো না।এ কথা শুনার পর আমি মতিউর ছোট ভাইকে বাচানোর জন্য প্রাচীরের পাশের গাছে উঠলে তারা আমাকে পিছন থেকে লাঠির আঘাত করলে আমার মাথা ফেটে যায়।পরে আমি নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হই।দ্বিতীয় গুরুতর আহত মোসাঃ কাজলী বলেন আমার ছেলে মতিউর মুঠোফোনে আমাকে বলে মা আমাকে ধরে বাজারে আলতুর ছেলেরা মারছে এ সংবাদ শুনে আমি ঘটনাস্থলে গেলে আমাকেও বেধড়ক মারপিট শুরু করে শেষে আমার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যায় এবং একটি হাত ভেঙ্গে যায়।প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ নয়ন বলেন ঘটনা কি নিয়ে তা জানিনা কিন্তু মানুষ মানুষকে এভাবে মারে এটা কল্পনাও করা যায় না।দ্বিতীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোসাঃ আবেদা সুলতানা বলেন ছোট ভাইকে রক্ষা করতে গাছে উঠে বাড়িতে প্রবেশের সময় তাকে তারা ছাড় দেননি।তৃতীয় প্রত্যক্ষদর্শী জনাব রবিউল বলেন মতিউর মারপিট সহ্য না করতে পেয়ে যখন দৌড় দেয় তখন কাহকে না পেয়ে মতিউরের মাকে বেধড়ক মার শুরু করে।মতিউরের মা বর্তমান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।জনাব মোঃ ফইমুদ্দিন বলেন আমার দুই ছেলে মোঃ মতিউর রহমান ও মোঃ সোহান ও আমার স্ত্রীকে গুরুতর জখম করে তারা পালিয়ে যায়।আমি তৎক্ষনাৎ কোন উপায় না পেয়ে পাড়া প্রতিবেশীদের সহায়তায় নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করায়।ভর্তি করানোর পর আমার স্ত্রীর অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেন।যারা আমার ছেলে ও স্ত্রীকে গুরুতর জখম অবস্থায় ফেলে গেছেন তারা হলেন মোঃ আলতাব হোসেন,মোঃ মাসুদরানা,মোঃ সাজেদুল ইসলাম,মোঃ মাজেদুল ইসলাম সবার পিতা-মোঃ আলতাব হোসেন (আলতু), সর্ব সাং রাজাপুর (ছয়ঘাটি দিঘিরপাড়)।আমি নিজে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এ কারনে নিয়ামতপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছি।