ভাষা ও শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা ভালোবাসা ও সংসার গড়ার পথ আটকাতে পারেনি। পেকুয়া উপজেলার এক ব্যতিক্রমী মানবিক উদ্যোগে সমাজের সামনে স্থাপন হলো অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। পেকুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহর উদ্যোগ ও অর্থায়নে দুই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীর বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা এলাকায় বরের বাড়িতে আনন্দঘন পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বর মোহাম্মদ জাহেদ উল্লাহ (৩৬), পূর্ব মেহেরনামার মো. ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে। কনে সোমাইয়া জন্নাত (২১), উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ছমি উদ্দিন পাড়ার সিরাজুল করিমের মেয়ে।
বিয়ের আয়োজনে ছিলো একটুও কমতি। দুপুর দেড়টার দিকে বর টুপি পরে, নোহা গাড়ির সামনের সিটে বসে বরযাত্রীসহ কনের বাড়িতে যান। কনের বাড়িতে লোকজন বরযাত্রীদের বরণ করে নেন আতিথেয়তায়। অনুষ্ঠান শেষে কনেকে নিয়ে বরের বাড়ি ফেরেন বরযাত্রীরা।
পরবর্তীতে বরের বাড়িতে ধর্মীয় নিয়ম মেনে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়েতে দুই পরিবারের সম্মতি ছাড়াও সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল আহসান উল্লাহ’র। তার মানবিক উদ্যোগ এবং সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে এই বিশেষ বিবাহের আয়োজন সফল হয়।
বরের পিতা মো. ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, “আমরা উভয় পরিবার আহসান উল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং সাহায্যে আমি আমার ছেলের বিয়ে দিতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য বড় আশীর্বাদ।”
স্থানীয়রা বলছেন, এটি শুধু একটি বিয়ে নয়—এটি একটি শক্তিশালী বার্তা, যেখানে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রয়েছে।
পেকুয়া উপজেলার মানুষ আহসান উল্লাহর এই উদাহরণকে মানবতার জাগরণ হিসেবে দেখছেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য এমন সহযোগিতা সমাজে সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।