বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উদ্বেগজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে—শিক্ষার্থীরা দিন দিন পড়াশোনার প্রতি বিমুখ হয়ে মোবাইল গেমস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অকারণে সময় নষ্ট করছে। পাশাপাশি ভয়াবহ মাদকের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে অনেক তরুণ-তরুণী। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষাজীবন, ধ্বংস হচ্ছে ভবিষ্যৎ। অভিভাবক মহল জানাচ্ছেন, দিনের বড় অংশজুড়ে তাদের সন্তানরা এখন বইয়ের পরিবর্তে স্মার্টফোনে ডুবে থাকে। রাত জেগে গেম খেলা, ভিডিও দেখা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অযথা ঘোরাফেরার কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ হারাচ্ছে। অপরদিকে, কিছু শিক্ষার্থী আবার কৌতূহল থেকে বা বন্ধু মহলের প্রভাবে নেশাজাতীয় মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, এই প্রবণতা যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে একটি প্রজন্ম ভয়াবহ সংকটে পড়বে। তারা অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও নৈতিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল অভিযান নয়, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে একসাথে কাজ করতে হবে এই ভয়াবহ আসক্তি থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে। মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্য তারা বলছেন, শিশু-কিশোরদের সুস্থ মানসিক বিকাশ রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। প্রতিটি স্কুলে সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটানো এবং পরিবারে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের আসক্তি থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। উপসংহারঃ আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। তাদেরকে মোবাইল ও মাদকের ফাঁদ থেকে মুক্ত রাখতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে জাতীয় অগ্রযাত্রা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।