পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়নাপীর মাজারহাট ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান একটি গ্রাম নির্মাণ প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে এ সময় উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কর্ম-সহকারী জাহিদুল ইসলাম স্থানীয়দের গণপিটুনির শিকার হন। পরে কৌশলে পালিয়ে তিনি প্রাণে রক্ষা পান।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার নতুন কার্পেটিং শুরু হতেই কিছু অংশ উঠে যেতে দেখা যায়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী।
স্থানীয় আলী বলেন, “আমি ভ্যান চালিয়ে যাতায়াত করি। দেখি আমার সামনে নতুন কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। পাশের একজন শিশির বলেন— হাতুড়ি দিয়ে সেটা টেনে উঠিয়ে দেখি সেটার নিচে বালু।”
নিমার্ণকাজে নিয়োজিত মিস্ত্রি আবুল কালাম বলেন, “পিচের কারণে কিছু বালু উঠেছিল। রাস্তার সারফেসে কার্পেটিং করার এমন হয়েই। এটা কোনো অনিয়ম নয়।”
প্রকৌশল কর্ম-সহকারী জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি কাজ তদারকি করতে গিয়েছিলাম। সেখানে উপস্থিতির খাতায় স্বাক্ষর করেছি। হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারধর করে। আমি পালিয়ে বেঁচেছি।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, “এই রাস্তার কাজ যথাযথ ধরেই চলমান। পাশের রাস্তার কারণে শেষ অংশে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”
আরও বলেন, “২০ দিন আগে প্রাক্কলন কোট দেওয়া হয়েছে। ঠিকঠাক কিছু কাজ বাকি, পরিস্থিতি না বুঝেই কার্পেটিং ওঠে হযবরল হয়ে গেছে।”
এ বিষয়ে পিসিপির প্রতিনিধি এনামুল ট্রেডার্সের প্রতিনিধি ফজলুল হক বলেন, “এটি ২০২০-২১ অর্থবছরের কাজ। আমি সাব-কন্ট্রাক্ট হিসেবে বাস্তবায়ন করছি। অনিয়ম নেই, তবু বলতে হলে হবে।”
পরে এ বিষয়ে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল হাসান বলেন, “বোদায় রাস্তার কাজ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। প্রকৌশল অফিসের কেউ অনিয়ম করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণপিটুনির বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তথ্য উপাত্ত যাচাই না করেই কেউ মারধরের ঘটনা ঘটালে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”