পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে পরকীয়ার অভিযোগে মানববন্ধন এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী মহিলা ইউপি সদস্য।
গতকাল মঙ্গলবার রাসেদা বেগম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রাক্তন স্বামী আবু সাঈদের আনিত অভিযোগকে মিথ্যা, চক্রান্তমূলক ও বানোয়াট বলেছেন।তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ৮ মাসের অন্তস্বত্বা। এই গর্ভস্থ্য সন্তান আমার প্রাক্তন স্বামী আবু সাঈদের। আমার প্রাক্তন স্বামী আবু সাঈদ আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন ও অত্যাচার করতেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বাবু মনি ভূষন রায়ের কাছে অভিযোগ জানালে, চেয়ারম্যান আমার প্রাক্তন স্বামীকে তলব করেন। একারনেই চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে আমার স্বামী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের প্ররোচনায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।শুরু থেকেই পামুলি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলামের কুদৃষ্টি ছিল আমার উপর। তাজুল ইসলাম আমাকে দিনাজপুর নিয়ে যাওয়ার কুপ্রস্তাব দিলে আমি তা নাকচ করে দেই। তাই তাজুল ইসলাম তার দুই সহযোগী আমির হোসেন বয়লার ও জয়নালকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির ও ফাঁসানোর নীলনকশা তৈরী করতে থাকেন।রাসেদা বেগম আরও বলেন, আমি যে বাড়িতে থাকি ঐ বাড়িটি আমার ভাই বোনের অর্থায়নে দেওয়া। আমার বাবার বাড়ি চট্টগ্রামে তাই এই এলাকায় আমি এতিম বলে । এজন্য বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতার জন্য চেয়ারম্যান বাবু মনি ভূষন রায়ের কাছে যাই। করোনাকালীন সময়ে আবু সাঈদ দুই বছর ওমানে প্রবাস জীবন যাপন করেন।প্রবাস জীবনে আবু সাঈদ তেমন সুফল আদায় করতে পারেন নি। চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় সাঈদকে বিদেশ থেকে দেশে ফেরত আনা হয়।
পামুলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলে হায়দার প্রধান আমাকে বিভিন্ন প্ররোচনামূলক পরামর্শ দিয়েছিল বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু মনি ভূষন রায়কে ফাঁসানোর জন্য। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারনে ফজলে হায়দার আমার বিষয়ে কূৎসা রটাচ্ছেন।রাসেদা বেগম আরও বলেন, তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেলিকপ্টারের ভোট করেন এবং তার স্বামী আনারসের ভোট করেন। সেই থেকে বিশৃঙ্খলার পরিমান আরও বেড়ে যায় এবং এতে কিছু কুচক্রী মহল আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করে।রাসেদা বেগম নিজেকে এবং চেয়ারম্যান বাবু মনি ভূষন রায়কে নির্দোষ দাবি করেন এবং জনগনের কাছে বিচার চান।