দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই সময় খাবারের বৈচিত্র্য ও পরিমাণ দুটিই অনেক বেশি থাকে। দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর হঠাৎ বেশি খাবার খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। বিশেষ করে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
পরিবারে শিশুসহ অনেকের বসবাস। তাঁদের কারও হয়তো ডায়াবেটিক, হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ, বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড, ফ্যাটি লিভার, কিডনির জটিলতা থাকতে পারে। তাই সবার কথা ভেবেই ঈদে খাবার তৈরি করা উচিত।
সুস্থ-স্বাভাবিক ৭০ কেজি ওজনের একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম মাংস খেতে পারেন। তবে অন্য কোনো প্রোটিনের উৎস থাকলে মাংসের পরিমাণ কমাতে হবে। সেটা একবারে না খেয়ে সারা দিনে দুই থেকে তিনবারে ভাগ করে খেতে হবে।
কিডনি রোগীর ফার্স্ট ক্লাস প্রোটিনের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমাতে হবে। রেডমিটে (লাল মাংস) সোডিয়াম বেশি থাকে। তাই গরু-খাসির পরিবর্তে মুরগির মাংস খাওয়া ভালো। বিচিজাতীয় খাবার (সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন) ডাল, ডালের তৈরি খাবার, শিম-কাঁঠালের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটি, বাদাম খাওয়া বন্ধ করতে হবে। লবণ ও লবণাক্ত খাবার কম খাবেন।
গরু-খাসির মাংস বেশি খাবেন না। চামড়া ছাড়া মুরগি বা হাঁসের মাংস খাওয়া যাবে। গরু-খাসির মাংসে যে চর্বি থাকে, সেটা বাদ দিয়ে রান্না করে ঝোলছাড়া পরিমিত খাওয়া যাবে। কলিজা, মগজ, মাছের ডিম, দুধের সর, চিংড়ি মাছের মাথা, মেয়োনিজ, ডালডা, মার্জারিন বা এগুলো দিয়ে তৈরি খাবার খাবেন না। অতিরিক্ত লবণ ও লবণাক্ত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার খাবেন না।
ডায়াবেটিসে মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিন, সরল শর্করার বদলে জটিল শর্করা খান এবং ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন।
যাঁদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেশি, তাঁরা হাঁস, গরু, খাসির মাংস খাবেন না। সব ধরনের অর্গান মিট, যেমন কলিজা, মগজ, মাছের ডিম, ভুঁড়ি খাওয়া যাবে না। সামুদ্রিক মাছ, বুটের ডাল, মটরের ডাল খাবেন না। অন্যান্য ডাল কম খাবেন। বেগুন, ফুলকপি, ব্রুকলি, মাশরুম খাবেন না।
আইবিএসের রোগীরা দুধ ও দুধের তৈরি খাবার, যেমন পায়েস, পুডিং, সেমাই ইত্যাদি খাবেন না। তবে ল্যাকটোজ ফ্রি দুধ দিয়ে রান্না খাবার খাওয়া যাবে। শাক খাবেন না।(সূত্র:প্রথম আলো)