ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক ভাই, ইদুর দমনে সহায়তা চাইএই শ্লোগানকে সামনে রেখে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান উদ্বোধনি অনুষ্ঠানেই সীমাবদ্ধ গত মঙ্গলবার ১২নভেম্বর এই উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে একটি র্যালীর মহরা হয়। মহরা শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওছার মিশু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন, পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান।অন্যানের মধ্যে উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান মিয়া,পলাশবাড়ী প্রেসক্লাব সভাপতি শাহ আলম সরকার, কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াত আমীর আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর থেকে সারাদেশে মাসব্যাপী জাতীয় ইঁদুর দমন অভিযান শুরু করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।পলাশবাড়ী উপজেলার ১টি
পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের কোথাও কোনো কৃষকের কাছে বিতরণ হয়নি ইঁদুর নিধনের ফাঁদ কিংবা বিষ। সচেতন করা হয়নি কোন ছাত্র-শিক্ষক-কৃষককে। অভিযানের মাসে কেউ দেখেননি সুনির্দিষ্ট একটি এলাকায় ইঁদুর নিধন করতে। কাজের কাজ শুধুই উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে র্যালীর মহরা আর আলোচনা সভা!উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের কৃষক রবিউল ইসলাম, মহদীপু’র ইউপির কৃষক নজমাল হোসেন পবনাপুর ইউপি’র কৃষক গাউছা মিয়াসহ আরো অনেকেই আলাদা আলাদা ভাবে জানায়,এবার আমন ধানের থোর অবস্থা থেকেই ক্ষেতে ইঁদুরের উৎপাত অনেক বেশী। ক্ষেতের ফসল রক্ষা করতে ফাঁদ ও বিষ মিশ্রিত টোপ দিয়েও ইঁদুরের উৎপাত কমেনি। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগও কোন পরামর্শ দেয়নি।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওছার মিশু জানান,ছাত্র- শিক্ষক- কৃষকদের নিয়ে ইদুর নিধনে সচেতন মূলক অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে।