গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে কৃষিজমি ও আবাসিক এলাকা ধ্বংস করে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আমিনুল ইসলাম জামায়াতের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সে নিজেকে জামায়াতের বড় নেতা দাবি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু বালু উত্তোলন নয়, জমি দখল, চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, মহিলাদের সম্মানহানি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধামকি দেওয়াসহ অসংখ্য অপরাধে জড়িত এই ব্যক্তি। কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে হামলা ও হয়রানি করে।
রোববার (২২ জুন ২০২৫) দুপুর ২ টার দিকে স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী আমিনুলকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান ডিপটি (৫০) অভিযোগ করে জানান, আমিনুলের নেতৃত্বে ফারুক মিয়া (২৫), মোঃ রাকিব মিয়া (২৭), জাকির মিয়া (৩৮), শাহিন মিয়া (২৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জন সন্ত্রাসী মিলে তার বন্ধক রাখা কৃষিজমিতে জোরপূর্বক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। এ বিষয়ে বাধা দিলে তারা প্রাণনাশের হুমকি, গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখায়।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তার বাড়ি ভাঙনের মুখে পড়েছে এবং আশপাশের কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই অভিযোগ করেছেন আরও কয়েকজন জমির মালিক—মোঃ মতলুবর রহমান মন্ডল, মোছাঃ শিউলী বেগম, মোছাঃ রুনা বেগম, মোঃ শাহিন মিয়া, মোছাঃ রিমা বেগম ও মোঃ রতন মিয়া।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে ভুক্তভোগীরা গাইবান্ধা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প, পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে কেত্তারপাড়ায় আমিনুল ইসলামের মালিকানাধীন ইটভাটায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্রো গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
এদিকে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে অবৈধ ড্রেজার মেশিন অপসারণ ও সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।