গত ৩১ শে জুলাই থেকে নোয়াখালীর সব জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়।অদ্যাবধি পর্যন্ত, দীর্ঘ এ বৃষ্টির কারনে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার।নোয়াখালীর গ্রাম অঞ্চলে ৭০% বাড়ী,৫৫% পাকা সড়ক এবং শতভাগ কাঁচা সড়ক এ সময় পানির নিছে তলিয়ে গেছে।ঘরে ডাল চাল থাকার পরেও, রান্না হচ্ছে না অনেক ঘরে।এ নিয়ে নোয়াখালীর জনজীবনে দেখা দিয়েছে দুর্দশা।
ভালো নেই নোয়াখালীর সাধারণ মানুষের অর্থনীতি। দীর্ঘ এ জলাবদ্ধতার কারনে কাজে যেতে পারছেনা হাজারো মানুষ।পানির কারনে শহরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আন্দোলনের কারনে বাড়িতে আসা লোকজন যেতে পারছেনা কর্মস্থলে।দিনমজুর পানির কারনে পাচ্ছেনা কোন কাজ।হতাশাগ্রস্থ অবস্থায় দিন পার করছে নোয়াখালীর কৃষকশ্রেণীর মানুষ। দীর্ঘ জলাবদ্ধতার কারনে খেতে থাকা কৃষকের আউশ ধান পানির নিছে।অনেকাংশে পঁচে গেছে আউশ ধান।রোপনের জন্য আমন ধানের বীজতলায় নেই কোন চারা।দীর্ঘ দিন পানির নিছে থেকে পঁচে গেছে, আমন ধানের চারা।আমন ধানের চারা না থাকায়,আমন ধান নিয়ে ধান চাষী কৃষকদের মনে আশংকা দেখা দিয়েছে।দ্বিতীয় বার বীজ পালানোর মতো কৃষকদের নিকট নেই পর্যাপ্ত বীজ,ও সময়।
খুব খারাপ সময় পার করছে, নোয়াখালীর মৎস চাষীরা।দিন দিন পানি বাড়তে থাকায় মৎস খামার গুলো থেকে মাছ চলে গেছে।পুকুর, ডোবা,খাল, বিল সব পানিতে একাকার হয়ে গেছে।এতে ক্ষতির মুখে মাছ চাষীরা। এ বছর মাছ চাষে অর্থনৈতিক লোকশানে হাজার হাজার মাছ চাষী।সাধারণ মানুষ মনে করে, এভাবে চলতে থাকলে,না খেয়ে মরতে হবে তাদের।ঘরে খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও চুলা গুলো পানির নিছে থাকায় রান্না করা যাচ্ছেনা। এদিকে শিশুদের জীবন হুমকির মুখে।ঘর থেকে বের হলেই পানি।জনজীবনে আশংকা, এ বন্যায় শিশুদের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।