বগুড়ায় এক নারী তার পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ এনে এবং নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে গত সোমবার (৩০ জুন) বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। তিনি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি হুমকি-ধমকির মুখে পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে জানান।
মালতীনগর পাইকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মারিয়া মাহফুজ বগুড়া প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে জানান, তার বাবা এস.এম মাহফুজুল আলম ডন ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। বাবার মৃত্যুর পর চাচাতো ভাই এস.এম মনিরুল আলম জুন ও এস.এম মঞ্জুরে আলম মুন অভিভাবকত্বের নামে তার পরিবারের সম্পত্তি দেখভাল শুরু করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১৪ সালে তারা তার বাবার প্রথম স্ত্রীর সন্তান নুরুন নবী নয়নকে ভুয়া পরিচয়ে তার বাবার সন্তান দাবি করে, জাল দলিল তৈরি করে সম্পত্তি আত্মসাৎ করেন। অথচ নয়নের পরিচয়পত্র ও শিক্ষাগত সনদে বাবার নাম “মোঃ আব্দুল খালেক”। এমনকি নয়নের মা-ও কখনো মাহফুজুল আলম ডনের সন্তানের স্বীকৃতি চাননি।
মারিয়া মাহফুজ বলেন, “২০২৪ সালে পারিবারিক কারণে জমি বিক্রি করতে গেলে তারা বাধা দেয় এবং ক্রেতাদের ভয়ভীতি দেখায়। তারা আমাদের সম্পত্তিকে নিজেদের বলে দাবি করে মামলা ঠুকে দেয় (মামলা নং-১০১/২৪)। আদালত আমাদের পক্ষে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আদেশ দিলেও তারা উচ্চ আদালতে আপিল করে (মামলা নং-৪৭/২৫), যা চলমান রয়েছে।”
এছাড়াও, ভুক্তভোগী নারী প্রতারণা ও জাল দলিল সংক্রান্ত অপর দুটি মামলা দায়ের করেছেন, যার একটি ফৌজদারি (মামলা নং-১০১৬/২৪) এবং অন্যটি দলিল বাতিল সংক্রান্ত (মামলা নং-১১৭/২৫)।
তিনি লিখিতো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলেন, আমাদের সম্পত্তির উপর আইনি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় আমার পরিবার তাদের নিজস্ব বসতবাড়িসহ বিভিন্ন সম্পত্তি মাপ-যোগ করার জন্য একজন আমিনকে তলব করে। এতে জুন ও মুন ক্ষিপ্ত হয়ে গাবতলী থানায় আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত থানার দায়িত্বরত এসআই সোহাগ আমার পরিবারকে ফোনকলে পুলিশ অনুসন্ধানের পূর্বে জমি মাপামাপি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু তার এই বক্তব্য বিজ্ঞ আদালতের আদেশের বিপরীতে যা আইনগত শুদ্ধ নয়। উক্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেরাজুল ইসলাম আমার পরিবারকে থানায় তলব করে সতর্ক করেন যাতে করে, উক্ত ঘটনাস্থলে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতা না ঘটে। কিন্তু প্রশ্ন হলো-পক্ষ রায় পেয়েছে সে পক্ষ কেন সহিংসতামূলক ঘটনা ঘটাবে?
তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার পরিবারের জানমাল ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।