1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০১:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি আড়াল করতে দুষ্ট চক্র পিছু নিয়েছে সভাপতির নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে আওয়ামী লীগের দোসররা মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৭দিনের রিমান্ডে পেকুয়া থানায় সাবেক এমপি জাফর দক্ষিণ তারাবুনিয়া ছাত্র কল্যাণ সংগঠনের ২০২৫ -২০২৭ সালের নতুন কমিটি ঘোষণা পিরোজপুরে কচুরিপানা দিয়ে স্বপ্ন- হাজারো মানুষের স্বপ্নের সিঁড়ি এনসিবির নারী নেত্রীর স্ট্যাটাস ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ইউএনও ইউএনও-পিআইও রাণীশংকৈলে সেনাবাহিনী পুলিশের যৌথ অভিযানে ১১টি মামলায় ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা রায়পুরায় আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের পরিষদের অফিস কক্ষে ব্যবসায়ীকে কু*পিয়ে হত্যা ধামইরহাটে শিয়ালের কামড়েও মিলছে ভ্যাকসিন বিপাকে ভুক্তভোগীরা

পিরোজপুরে কচুরিপানা দিয়ে স্বপ্ন- হাজারো মানুষের স্বপ্নের সিঁড়ি

Tajuddin Md Munir
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

সাবহেডলাইন: অযত্নে জন্ম নেওয়া কচুরিপানা আজ জীবিকা, শিল্প আর স্বপ্ন বোনার উপকরণ; বদলে দিচ্ছে গ্রামের নারীদের জীবন।

 

এক সময় যে কচুরিপানাকে মানুষ “অপ্রয়োজনীয় আগাছা” বলে তিরস্কার করত, সেই কচুরিপানা আজ একেকজনের স্বপ্নের সোপান হয়ে দাঁড়িয়েছে। বরিশালের দেলবারি গ্রামের নারীরা এখন কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করছেন হস্তশিল্প, ঘরের শোপিস, ব্যাগ, ম্যাট, ডেকোরেশন আইটেমসহ নানা জিনিস। এইসব পণ্যের বাজার এখন ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে অনলাইনে, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও।

স্বপ্নের শুরু:

দেলবারি গ্রামের গৃহবধূ হাসিনা বেগম বলেন,

“একসময় ঘরেই বসে থাকতাম, সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। এখন কচুরিপানা দিয়েই মাসে ৮-১০ হাজার টাকা আয় করি। ছেলেমেয়ের পড়ালেখা, নিজের খরচ সব সামলাতে পারছি।”

এই রূপান্তরের পেছনে ছিল একঝাঁক স্বপ্নবাজ নারীর চেষ্টা ও একটি এনজিওর সহায়তা, যারা প্রথম এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে।

কিভাবে তৈরি হয় এই শিল্প:

পানিতে ভেসে থাকা কচুরিপানা সংগ্রহ করে সেগুলো শুকিয়ে শক্ত ডাঁটা অংশ দিয়ে বানানো হয় পণ্য। এটি ১০০% প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব। নারীরা এখন এসব দিয়ে তৈরি করছেন টেবিল ম্যাট, ব্যাগ, গহনা বক্স, বইয়ের কাভার, ছাতার হ্যান্ডেলসহ নানান নকশাদার জিনিস।

নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তি:

এ কাজে জড়িত আছেন গ্রামের অন্তত ৩০০ নারী। কেউ কাজ করছেন বাড়িতে, কেউ ছোট কর্মশালায়। প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়েছেন অনেকে। শুধু পরিবার নয়, সমাজে তাদের পরিচিতি বেড়েছে—তারা এখন “হস্তশিল্পী”, “উদ্যোক্তা”।

চ্যালেঞ্জ আর সম্ভাবনা:

অবশ্য সব কিছুই সহজ ছিল না। কাঁচামালের প্রক্রিয়াজাতকরণ, পণ্যের ডিজাইন উন্নয়ন, বাজারজাতকরণ সবই একসময় ছিল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহজলভ্যতা অনেক কিছু বদলে দিয়েছে।

এক সময় যাকে সবাই অবহেলা করত, সেই কচুরিপানাই এখন গ্রামের নারীদের জীবনের চালিকাশক্তি। কচুরিপানার সৃষ্ট পণ্যে যেমন রয়েছে নান্দনিকতা, তেমনি প্রতিটি সুতোর বাঁধনে জড়িয়ে আছে হাজারো নারীর স্বপ্ন। দেলবারির এই সাফল্য শুধু একটি গ্রামের নয় এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের জেগে ওঠার প্রতীক।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com