1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
খাবার পানি সংরক্ষণে ট্যাংকি বিতরণ, খুলনার কয়রায় ৫৯ পরিবার উপকৃত চোরাই মাল বেচা কেনার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জড়িত শুকুর মোল্ল্যা রাকসু থেকে উঠে এসে যারা দিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুদকের অভিযান কয়রার জলবায়ু সংকট নিরসনে বাজেট বৈষম্য অবসানের দাবি চিলাহাটি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্রছাত্রী অভিভাবক ও সুধীজন নিয়ে মতবিনিময়ে অনুষ্ঠান পরিচ্ছন্নতা কর্মী সংকটে নাকাল বেরোবি, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের আয়োজনে জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা, স্মৃতিচারণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মশালা বগুড়া জেলা গৃহনির্মাণ শ্রমিক পরিষদ এর পুণরায় নির্বাচনের দাবিতে প্রেশ ক্লাবে সম্মেলন

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুদকের অভিযান

মো.আরফান আলী
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
  • ১৯৯ বার পড়া হয়েছে
ঠাকূরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি নানা অনিয়মে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার উদাসিনতা ও নার্সদের খাম খেয়ালীপনায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালে পর্যান্ত ঔষুধ সরবরাহ থাকা সত্বেও বাইরের ফার্মেসী থেকে ঔষুধ কিনতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। এছাড়াও রোগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশ সহ ব্যাপক অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে দুদকের অভিযানে।
বৃস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীন  ভাবে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম। অভিযান চলাকালীন সময়ে তারা হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেণ এবং ভর্তি এবং আগত রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অনুসন্ধান চালান।
অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তা মো. আজমির শরিফ মারজী সাংবাদিকদের জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। এ সময় রান্নাঘর, গুদামঘর এবং বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা হয়। রোগীদের দেয়া খাবার নিম্নমানের এবং ডায়েট চার্ট অনুযায়ী নয়। এছাড়া হাসপাতালের গুদামে প্রোয়জনীয়  ঔষুধ মজুত থাকা সত্বেও  রোগীদের তা না দিয়ে ডাক্তাররা বাইরের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে বলছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার নিয়ম মেনে অফিসে আসেন না। সরকারী  গাড়ী ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন তিনি। তার উদাসীনতায় নিজ খেয়াল খুশি মত করে নার্সরা অফিস করছেন। ষ্টোর রুমে পর্যান্ত ঔষুধ মজুদ থাকা সত্ত্বেও রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে বলছেন নার্সরা। তাদের খাম খেয়ালীপনায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। বর্হিবিভাগের ওষুধ সরবরাহের রেজিষ্ট্রার বহি দুই মাস ধরে হালনাগাদের কোন তথ্য নাই। কর্মরত নার্স ইনচার্জের কাছে অতিরিক্ত ১শ টি সরকারী এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন (সেপট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন ১ গ্রাম) পাওয়া যায়। এ ছাড়াও হাসপাতালটিতে ৩২ জন ডাক্তারের স্থলে মাত্র ৪ জন কর্মরত আছেন। একটি সরকারী অ্যাম্বুলেন্স সত্ত্বেও এম্বুলেন্স ভাড়া নিতে হয়। চালকে বকশিশ দিতে হয়।
তিনি আরও জানান, কিছু রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে থাকায় রোগীদের বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে বেশি খরচে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পত্র পাঠানো হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার সিভিলি সার্জন অফিসে মিটিং এ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com