ঢাকা রাজধানীবাসীর কাছে এক আতঙ্কের নাম যানজট, সকালে অফিস স্কুল আর হাসপাতালে পৌঁছাতে যেন রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়, পুরান ঢাকা বেগম বাজার মাজারের সামনে এই ছোট্ট সড়কটিতে। ১ দিকে সড়কে গাড়ির চাপ অন্যদিকে অবৈধ পার্কিং আর বেগম বাজার কমিটি সেন্টার রড সিমেন্ট এর যেন মিটফুটে এই রোডটিতে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরান ঢাকা বেগম বাজার ৩ মাজারের সামনে ছোট সড়কটিতে ট্রাক পিকআপের চার ভাগের ৩ ভাগই যেন পার্কিংয়ের দখলে। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা পরিচয়ে দিয়ে আনোয়ার এবং কাউসার ও রনির মদদে মহাসড়কের ওপর গাড়ি পার্কিং করা গাড়িগুলো সিরিয়ালে দাঁড় করাচ্ছিলেন। এভাবে মহাসড়কে গাড়ি সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে প্রতিদিন মালামাল উঠানামা করা হয়, এতে ওই সড়কটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে হাসপাতালে রোগীদের আসা যাওয়া ও রুগীদের অ্যাম্বুলেন্স গুলো ঢুকতে অনেক বিরম্বনার শিকার হয়। এই বিষয়ে কথা বললে বিপদ আছে এই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি কেউ, গাড়ি চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায় বড় ট্রাকের থেকে ১০০ করে এবং ছোট গাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে প্রতি ঘন্টায় ভাড়া নেওয়া হয়, ফলে রোগীদের প্রচুর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যানজটের কারণে প্রতিদিন প্রায় মানুষের যাতায়াতের কষ্ট প্রচুর কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, ফলে প্রতিদিন আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে আর জ্বালানি পুড়ছে, ফলে পুরান ঢাকার বাণিজ্যিক গুরুত্ব কমছে। সিটি কর্পোরেশন বলছেন ঢাকা শহরে ব্যবহার যোগ্য রাস্তার পরিমাণ মাত্র ৫ শতাংশ, ফলে আমাদের রাস্তার ওপর গণমানুষ ও পরিবহনের চাপ অত্যাধিক বিশেষ করে , চকবাজার, মৌলভীবাজার, ছোট কাটরা ও বড়কাটরা, পাটুয়াটুলীসহ অন্যান্য এই এলাকায় পাইকারী বাজারগুলোতে পার্কিং সুবিধা না থাকার যানজট লেগে থাকে। গুলিস্তানে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরিয়ে নেওয়া গেলে যানজট আরও কমবে, পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্কাইওয়াক স্থাপন ও স্মার্ট পার্কিং চালু করার গেলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সাথে ১৮টি স্টেক হোল্ডার রয়েছে। সবার মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো গেলে যানজট কমনো সম্ভব হবে।