দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে গত কয়েকদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। হিমশীতল বাতাস, কনকনে ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত।
তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গভীর রাত থেকে বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির ফোটার মতো হালকা ঝড়ে পড়া ঘনকুয়াশা শীতকে আরও কঠিন করে তুলেছে।কনকনে শীতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা।হাড়কাঁপানো শীতে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষজন। শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটে চলছেন তারা।তবে বেলা বেড়ে দুপুর পেরিয়ে গেলেও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঠান্ডায় জেলার পাঁচ উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে যেতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করছেন।তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর তীরবর্তী চর এলাকার মানুষগুলো এই কনকনে ঠান্ডায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, উত্তরাঞ্চলে আবহাওয়া বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে কয়েকদিনে লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৯ডিগ্রি সেলসিয়াস। ক্রমশ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘনকুয়াশা থাকায় জেলার বিভিন্ন রাস্তায় হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যানবাহান চলাচল করতে দেখা গেছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ বলেন, ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। খুব দ্রুত তা বিতরণ করা হবে।