কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও টিআইবি’র আয়োজনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অঙ্গনে করনীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর ) সকাল দশটা জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে উক্ত অনুষ্ঠানে সনাকের সভাপতি আসমা আনসারী মিরুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা : শারমিন আখতার, সিভিল সার্জন কুষ্টিয়া ডাঃ মো. আকুল উদ্দিন, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুষ্টিয়া এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মোঃ রফিকুল আলম টুকু, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর এর উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম শীল, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (জুডিসিয়াল মুন্সিখানা, গোপনীয় শাখা, স্থানীয় সরকার এবং প্রকল্প পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন শাখা) মোঃ মহসীন উদ্দীন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সাধারণ শাখা, ব্যবসা, বানিজ্য ও বিনিয়োগ শাখা এবং প্রবাসী কল্যাণ শাখা) আদিত্য পাল, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া এর সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল,কুষ্টিয়া মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর উপপরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এর উপপরিচালক মো. আব্দুল লতিফ সেখ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর এর সিনিয়র কেমিস্ট মো. হাবিবুল বাসার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ , ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত বক্তারা জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার” লক্ষ্য নিয়ে ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রণয়ন করা হয়।শুদ্ধাচার বলতে সাধারণভাবে নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ বোঝায়। এর দ্বারা একটি সমাজের কালোত্তীর্ণ মানদণ্ড, নীতি ও প্রথার প্রতি আনুগত্যও বোঝানো হয়। ব্যক্তিপর্যায়ে শুদ্ধাচারের অর্থ হলো কর্তব্যনিষ্ঠা ও সততা তথা চরিত্রনিষ্ঠা। বক্তারা আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি পর্যায়ে শুদ্ধাচার অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুদ্ধাচারে পেশাদারিত্বের পাশাপাশি আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির ছাড়াও ১৮টি গুণাবলি যেমন পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মী ও সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণসহ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের পারদর্শিতা এমনকি ছুটিগ্রহণের প্রবণতাকেও মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়।