(এসএসসি-২০২৫ পরীক্ষায় ১০০% পাশ, ১৯ জনের জিপিএ ৫.০০, ৫ জনের গোল্ডেন জিপিএ)
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড—এই বিশ্বাসকে ধারণ করে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে প্রত্যাশা কোচিং একাডেমি। অদম্য অধ্যবসায়, নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকের পরিশ্রম এবং শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় এই একাডেমি অর্জন করেছে এক গৌরবময় সাফল্য।
প্রত্যাশা কোচিং একাডেমি থেকে অংশগ্রহণকারী সকল পরীক্ষার্থী শতভাগ পাশ করেছে, যা এ অঞ্চলের জন্য এক বিরল অর্জন। এর মধ্যে ১৯ জন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ গ্রেড পয়েন্ট (জিপিএ-৫.০০) অর্জন করে সবার দৃষ্টি কাড়ে। আরো আশার কথা, এর মধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থী গোল্ডেন জিপিএ-৫.০০ পেয়ে এক অনন্য উচ্চতায় উঠে গেছে। এই ফলাফল শুধু প্রতিষ্ঠানটির নয়, পুরো নিয়ামতপুর উপজেলার জন্যই এক গর্বের বিষয়।
এই অভাবনীয় সাফল্যের পেছনে রয়েছে একাডেমির সুদক্ষ ও পরিশ্রমী শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ, যাঁরা নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশেও নজর রেখেছেন। তারা শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, জীবনের নানা দিক সম্পর্কেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাগরণ ঘটিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের আন্তরিকতা এবং অভিভাবকদের সহযোগিতা ছিল এই সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জনাব মোঃ বুলবুল আহমেদ বলেন,“আমরা শুরু থেকেই প্রত্যন্ত এলাকার মেধাবী, কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আজকের এই ফলাফল আমাদের প্রমাণ করে দিয়েছে, সুযোগ পেলে তারাও এগিয়ে যেতে পারে। আমাদের স্বপ্ন—এই প্রতিষ্ঠান থেকেই একদিন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা তৈরি হবে, যারা সমাজকে আলোকিত করবে।”একাডেমির এই অসাধারণ ফলাফল নিয়ামতপুর উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। সাফল্যে আনন্দিত অভিভাবকগণ জানান, তারা এখন তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও আশাবাদী। অনেক অভিভাবক বলেন, এই কোচিং একাডেমি তাদের সন্তানের ভবিষ্যতের রূপরেখা বদলে দিয়েছে।এই অভূতপূর্ব সফলতা আগামী দিনে প্রত্যাশা কোচিং একাডেমির পথচলাকে আরও গতিশীল করবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি করবে আত্মবিশ্বাস এবং অনুপ্রেরণা। সেইসঙ্গে এটি এ অঞ্চলের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।সত্যিই, প্রত্যাশা কোচিং একাডেমির এই কৃতিত্ব গ্রামবাংলার শিক্ষা অগ্রযাত্রার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।