বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদী ইউনিয়নের ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ ধামাচাপা দিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি দুষ্টচক্র। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের সভাপতিকে টার্গেট করে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ এই চক্রটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্য ও টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের হেপাটাইটিস বি টিকা প্রদানের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। বিষয়টি তদন্তের দাবিতে অভিভাবক সদস্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কিন্তু সঠিক তদন্তের গাফিলতি দেখা দেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এইচ. এম. সোহাগ যখন সঠিক তদন্ত ও জবাবদিহিতার উদ্যোগ নেন, তখনই প্রধান শিক্ষক সহ একটি কুচক্রী মহল তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে।
সভাপতির দাবি, আমি বিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও সুশাসনের পক্ষে কাজ করছি। কিন্তু একটি দুর্নীতিপরায়ণ মহল নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে আমাকে নিশানা করেছে। আমার বিরুদ্ধে সম্প্রতি জাল সনদের অভিযোগ তুলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, ইউএনও এবং বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় দুই ব্যক্তি—গোলাম কবির বাবলু ও মিজানুর রহমান মিজান।
এই অভিযোগের জবাবে এইচ. এম. সোহাগ বলেন,
আমি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)-এর তদন্ত শেষে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছি। গত চার মাস যাবৎ আমি সৎ ও দায়িত্বশীলভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। তা সত্ত্বেও আজ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ উত্থাপন শুধু আমাকে নয়, এই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা।
এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ রক্ষায় দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা এবং সত্যিকারের কাজ করতে চাওয়া মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।